আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in সালাত(Prayer) by (51 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম,
গত ১০ এপ্রিল আমি ও আমার কিছু বন্ধু সকালে ৮ টার দিক ঢাকার ফার্মগেট বাস স্ট্যান্ড থেকে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমরা যেই রাস্তা দিয়ে গিয়েছি,  দূরত্বের হিসেবে গুগল ম্যাপ অনুযায়ী তা ৫৬ কিমি। সেখানে অর্ধ দিবস অবস্থান করার পর বিকালে রওনা দেই।  এবং আসার পথে ঘুরপথে ব্যাক করার কারণে ৬০ কিমি এর বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে ইফতার এর পর বাসায় পৌছাই। পথিমধ্যে এয়ারপোর্ট (মিরজাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট এর সরাসরি দূরত্ব 42 কিমি। ঘুরপথে আসায় তা ৪৮ কিমি এর বেশি হবে) এর বিপরীতে অবস্থিত  এক নামাজের স্থানে  আসরের সালাত কসর হিসেবে আদায় করি৷ এখন,  শরীয়তের দৃষ্টিতে কি কসর  সালাত টি সঠিক হয়েছিলো? যদি না হয়ে থাকে তবে সে নামাজের জন্য এখন কি করা যেতে পারে।
বি দ্রঃ ওয়েবসাইটে কসর সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব পড়ে দেখেছি। একটা ব্যাপার ক্লিয়ার হয় নি৷ দূরত্ব ৭৭ কিমি হবার অর্থ কি এই যে যাত্রা শুরু এর স্থান হতে যাত্রা শেষ এর স্থান এর সরাসরি দূরত্ব ৭৭ কিমি এর বেশি হতে হবে৷ নাকি আমাদের অবস্থার মতো মোট ভ্রমণের পরিমাণ ৭৭ কিমি এর বেশি হতে হবে।
closed

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


যে ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৮মাইল {যেটাকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার বলা হয়} সফর করার নিয়তে নিজ আবাদীর লোকালয় থেকে বের হয়েছে, সে শরীআতের পরিভাষায় মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩৯ আসারুস সুনান ২৬৩)

মুসাফির ব্যাক্তি চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ ২ রাকাত করে আদায় করবে। 
   
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)

অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যেখানে গিয়ে কসর নামাজ আদায় করেছেন,এটা যেহেতু আপনার নিজ এলাকা তথা ঢাকা হতে ৭৮ কিলোমিটার থেকে কম।
সুতরাং এক্ষেত্রে কসর করা ঠিক হয়নি।
আপনি পুনরায় উক্ত নামাজের কাজা আদায় করবেন।

★আপনি যেখানে সফর করে যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন,সেই এলাকা আর আপনার এলাকার মাঝে ৭৮ কিলোমিটার হলে কসর করবেন।
মোট ভ্রমন ধরা যাবেনা।
উক্ত স্থান হতে আসার সময়টিকেও ৭৮ কিলোমিটার পূর্ণ করার লক্ষ্যে  যোগ করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...