আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ


আমার কিছু বন্ধু আছে, কিন্তুু তারা খুব কাছের না। তারা মাঝে মাঝে ফোন করে কিছু টাকা ধার চায় । তাদের ব্যাপার এ একটা কথা হচ্ছে যে তাদের যতদূর চিনি তারা টাকা ধার নিলে পরে দিতে ভুলে যায়। তারা আবার ও মাঝে মাঝে টাকা ধার চায়, তখন আমার কাছে টাকা থাকলে ও তাদের না বলে দিই। এখন কথা হচ্ছে, আমি যে তাদের মিথ্যা বললাম এর জন্য কি আামাকে জবাব দিতে হবে ?

 আর এ আবস্থাতে কি করা উচিত ....?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


টাকা ধার নিয়ে পরে ভুলে যাওয়া, এটি মারাত্মক অপরাধ।
ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে মারা গেলে কতবড় সমস্যা হবে,তাহা নিম্নের হাদীস গুলো থেকে প্রতিয়মান হয়।
,  
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলে (কিয়ামতের দিন) তার ঋণ পরিশোধ করার জন্য কোনো দিনার বা দিরহাম (টাকা-পয়সা) থাকবে না; বরং পাপ ও নেকি অবশিষ্ট থাকবে।’ (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ২২২২)

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে, সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয় তার ভাইয়ের পক্ষে তার কাছ থেকে পুণ্য কেটে নেওয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোনো দিনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তাহলে তার (মজলুম) ভাইয়ের গুনাহ এনে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৫)

শহীদ হলেও ঋণের গুনাহ মাফ হয় না : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শহীদ ব্যক্তির সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। কিন্তু ঋণ ছাড়া।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৬)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের আত্মা তার ঋণের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকে, যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১০৭৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি বলেন যে "আমার কাছে টাকা নেই" তাহলে মিথ্যা হবে।   

আপনি তাওরিয়াহ করতে পারেন।
পকেটে থেকে টাকা বের করে অন্যত্রে রেখে বলতে পারেন যে এই অবস্থায় আমার পকেটে টাকা নেই।
ঋন দিবো কিভাবে?


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...