হাদীস শরীফে এসেছে-
يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
★নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতিঃ
পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ যথা-
(ক) দৃশ্যমান নাজাসত
(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত
(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।
(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাপড় কিভাবে পাক করতে হয়,সেটি বুয়াকে না বলেই তাকে জিজ্ঞাসা করবেন যে সে কিভাবে সেই কাপড় পাক করেছিলো?
যদি সে বলে যে তিনবার নতুন পানি দিয়ে ধুয়ে প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিয়েছিলো,তাহলে আপনি টেনশন মুক্ত।
সব কিছু পাক থাকবে,আলহামদুলিল্লাহ।
আর যদি বুয়া এর ব্যাতিক্রম ভাবে ধোয়ার কথা বলে,তথা তিনবারের কম ধুয়ে থাকে,বা প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে না থাকে,তাহলে যেখানে যেখানে সেটা দিয়ে মুছে দিয়েছে,পুরো স্থান নাপাক বলে গন্য হবে।
ভেজা পাক কাপড় দিয়ে তিনবার মুছে দিবেন,প্রত্যেকবার নতুন পানি নিবেন।
(০২)
হাত নাপাক হবে।
(০৩)
বেসিনে হাত ধোয়ার সময় তো হাতে নাপাকি ছিলোনা।
সুতরাং এতে সমস্যা নেই।
,
হ্যাঁ যদি হাতে নিশ্চিত পেশাব থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত ছিটা নাপাক।
তাহা একদিরহাম থেকে কম লাগলে মাফ বলে গন্য হবে।
আর যদি পায়খানা হাতে লেগে থাকা নিয়ে নিশ্চিত হোন,তাহলে ছিটা আসা পানিতে পায়খানার রং/গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটিকে নাপাক বলা যাবেনা।
(০৪)
নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় সেই পানির ছিটা কোথাও লাগলে সেই স্থান ধুয়ে ফেলবেন।
(০৫)
হ্যাঁ পাক হয়ে যায়।
(০৬)
সেই পানিতে নাপাকির কোনো চিন্হ/গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটিকে পাক ধরবেন।
তবে যদি নিশ্চিত ভাবে আপনি জানেন যে এটি টয়লেটের পাইপ থেকেই এসেছে,তাহলে নাপাক ধরবেন।
(০৭)
সাবান ব্যবহার করুন,বা না করুন।
উভয় ছুরতেই পাক পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
(৭.১)
তিনটি টিস্যু পেপার দিয়ে তিনবার মুছে নিয়ে এক বদনা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই যথেষ্ট।
এতে নাপাকি চলে গিয়েছে,বলে ধারনা হয়ে যায়।
(০৮)
হ্যাঁ ব্যবহার করা যাবে।