জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেটিকে জাযা বলা হয়েছে,এটি মূলত নযর তথা মান্নত।
আল্লাহর নাম না নিয়ে কোনো ইবাদত নিজের উপর আবশ্যকীয় করে নেয়াকে মান্নত বলে।
যেমন কেহ বললো,আমার ছেলে যদি সুস্থ হয়,তাহলে আমি দুই রাকাত নামাজ পড়বো।
এটি মান্নত হবে।
ছেলে সুস্থ হলে এই নামাজ আদায় করা তার উপর ওয়াজিব হবে।
মান্নত সংক্রান্ত মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]
তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]
المسألة الأولى فى حقيقة النذر، وهو التزام الفعل بالقول مما يكون طاعة لله عز وجل، من الأعمال قربة (احكام القرآن لابن عربى، دار الكتب العلمية-1\352، كرتاشى-2\18)
فركن النذر: هو الصيغة الدالة عليه، وه قوله: لله عز شانه على كذا، أو على كذا، وهذا هدى، أو صدقة، أو مالى صدقة أو ما أملك صدقة أو نحو ذلك (بدائع الصنائع، كتاب النذر-4\226)
সারমর্মঃ
মান্নতের রুকন হলো এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে,যেটি তার উপর বুঝায়,,,,
وصيغته تكون بلفظ النذر نحو "نذرت" أو ما يدل على الإلزام نحو "لله علي" أو ما شابه ذلك.
সারমর্মঃ
মান্নতের শব্দ হলো যেখানে নযর তথা মান্নতের শব্দ ব্যবহার হবে।
যেমম আমি মান্নত করিলাম,বা যে শব্দ গুলো নিজের উপর কোনো কাজ আবশ্যকীয় করে নেওয়া বুঝায়,,,,
আরো জানুনঃ
(০১)
হ্যাঁ হবে।
আল্লাহর নাম নিলে এটি কসম হয়ে যাবে।
(০২)
নিজের উপর আবশ্যকীয় করে নেয়ার মতো কোনো ইবাদত নিয়ে বললে সেটি মান্নত হবে।
নতুবা নয়।
(০৩)
না,এতে কসম হয়না।
(০৪)
না,মনে মনে কসম হয়না।
(০৫)
এটি কসমও হবেনা,মান্নতও হবেনা।
(০৬)
না,এতে কসম হবেনা।
এটি ওয়াদা হবে।
(০৭)
এতে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার যদি কসম করে,আর আল্লাহর নামে এক্ষেত্রে সেটি কসমের মতো বাক্য যবান থেকে বের হয়,তাহলে কসম হবে।
(০৮)
না,এতে কসম হবেনা।
(০৯)
এতে কসম হবেনা।
নিয়ত থাকুক,বা না থাকুক,কসম হবেনা।
(১০)
ফিরিয়ে নেয়া যায়না।
মান্নতের কাফফারা নেই।
এখানে যেই ইবাদতের মান্নত করা হয়,সেই ইবাদত করতে হবে।