بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
পেশাবের ছিটা যেন শরীরে কাপড়ে না লাগে; এ ব্যপারে পুরোপুরি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, মানুষের পেশাব নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। তাই যে অঙ্গে বা কাপড়ে উক্ত পানির ছিটা পড়লে, অবশ্যই ঐ অঙ্গ বা কাপড়ের ওই অংশ ধৌত করে নিতে হবে। কারণ, অল্প পানির মধ্যে নাপাক পতিত বা মিশ্রিত হওয়ার দ্বারা পানি নাপাক হয়ে যায়। কিন্তু উক্ত পানির ছিটার দ্বারা পুরো শরীর বা পুরো কাপড় নাপাক হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে (দারাকুতনী ৪৭৬)
ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত প্রসাবের ফোঁটা শরীর বা লাগলেও তা নাপাক হয়ে যায়। প্রসাবের ছিটা থেকে বেঁচে থাকা তা হতে সতর্ক না থাকা ব্যাপারে হাদিসে এসেছে,
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা দুইটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তিনি বললেনঃ এদের আযাব দেয়া হচ্ছে, কোন গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব হতে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত। তারপর তিনি একখানি কাঁচা খেজুরের ডাল নিয়ে ভেঙ্গে দুইই ভাগ করলেন এবং প্রত্যেক কবরের উপর একখানি গেড়ে দিলেন। সহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন করলেন? তিনি বললেনঃ আশা করা যেতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত এ দুইটি শুকিয়ে না যায় তাদের আযাব কিছুটা হালকা করা হবে। ইবনুল মুসান্না (রহঃ) আ‘মাশ (রহঃ) বলেনঃ আমি মুজাহিদ (রহঃ) হতে অনুরূপ শুনেছি। সে তার পেশাব হতে সতর্ক থাকত। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ২১৮)
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ঃ
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ছুরতে আপনার পায়ে নাপাকির ছিটা লাগার পরে আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি দিয়ে উক্ত স্থান ধৌত করে ফেলেন তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন। এবং পবিত্রতা অর্জনের পরে এবিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত হবে, যা থেকে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক।