আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
258 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
আমার স্ত্রীর সাথে বহুবিবাহ নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমার স্ত্রীকে আমি বোঝাচ্ছিলাম যে আমি নিজে একাধিক বিয়ে না করলেও  মুসলিম হিসেবে বহুবিবাহকে সমর্থন করা উচিত। আমার স্ত্রী আমার উপর আগে থেকেই অনেক রেগে ছিল। কথা বলার এক পর্যায়ে আমি তাকে বলি "এটা তো স্বীকার করতে হবে যে এটা(বহুবিবাহ) হালাল"। সে আমার উপর রেগে থাকায় হুট করে বলে ফেলে " হ্যা, এটা হারাম"। সে জানে যে বহুবিবাহ হালাল। রেগে থাকায় ভুলবশত বলে ফেলে যে হারাম। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই কথা বলার দ্বারা কি তার ঈমান চলে গেছে? বিঃদ্রঃ সে এটা জানতো না যে হালাল জিনিসকে হারাম বললে ঈমান চলে যায়। আমার উপরে অত্যধিক রেগে থাকায় ভুলবশত হালাল জিনিসকে হারাম বলে ফেলে।
যদি ওই কথার দ্বারা তার ঈমান চলে গিয়ে থাকে তাহলে কি ঈমান নবায়ন করতে হবে?? তাহলে কি আমাদের বিয়েও  নবায়ন করতে হবে?? বিয়ে যদি নবায়ন করতে হয় তাহলে কিভাবে বিয়ে নবায়ন করতে হয়?

1 Answer

+1 vote
by (583,410 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

সুতরাং কারো কোন কাজে সন্দেহ হলেই বা সামান্যতম গুনাহের কাজ করলেই তাকে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক ইত্যাদি বলে প্রচার করা জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।(সংগৃহিত)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রী যদি বহু বিবাহকে হারাম বলে, তবে তার উদ্দেশ্য নয় যে, সে বহু বিবাহকে হারাম সাব্যস্ত করবে, তাহলে এই কারণে স্ত্রী কাফির হবে না।এমনকি স্ত্রীর কোনো গোনাহও হবে না।কেননা বহু বিবাহ হালাল হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে।সুতরাং যারা শর্তকে পূর্ণ করবে,শুধুমাত্র তাদের জন্যই হালাল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...