এভাবে কি ও মুশরিক হয়ে যাবে?আরেকটা প্রশ্ন আছে সাথে

Question

আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।কেউ ধরেন শপথ করে বলল একটা কাজ করবে না।আবার ধরেন শপথ করে বলল করলে মুসলমানের জাত থেকে বের হয়ে যাবে(মনে মনে অটোমেটিক)। কিন্তুু কিছুদিন পর সে শপথের কথা ভুলে গেল।শপথের কথা  মনে থাকলেও মুসলিম থাকবে না বলছে যে সেটা ভুলে গেল এবং শপথ ভেন্গে ফেলল। মনে না থাকার কারনে।আবার কিছুদিন  পর মনে পড়ল কি কি বলেছিল।এতে কি ও মুসলিম থেকে বের হয়ে যাবে? রাগে এমন শপথ করেছে হয়ত।এতে কি ও মুসলিম থাকবে না?আল্লাহকে বিশ্বাস করলেও ইসলাম মানলেও?।

২।একজন ব্যাক্তি পূর্বে মাজহাব কি সেটাও জানত না।এমনকি বিয়ের পরও অনেক পর জানতে পারছে।এমনিতে শুনেছে বাংংলাদেশের  মানুষ হানাফী মাজহাব কিন্তুু মাজহাবে যে পরিবর্তন আছে সেটাও জানে না।তহ ও সবসময় একজন বড় আলেমকে অনুসরন করে। কিন্তুু যখন বিয়ে করেছিল পালিয়ে বিয়ে করেছে সেটা কোন মাজহাবে আছে সেটাও জানত না।কয়েকজনের ওয়াজ দেখে বুঝেছে মত পার্থক্য আছে, তবে কোন কোন হুজর বলেছিল বিয়ে হবে। ব্যাক্তি ওটা কিন্তুু শায়খ আহমাদউল্লাহ সাহেবকে ফলো করে।কারন বিয়ের আগে ইসলাম সম্পর্কে তেমন কিছু জানত না, এখন শায়েখ আহমাদউল্লাহ সাহেবের ওয়াজ দেখে সবসময় আর ওনাকেই ফলো করে আর ফতোয়া ওনার গুলোই মানে।এতে কি গুনাহ হবে? কারন আগে কিছু জানত না।বিয়ের আগে তেমন কাওকে ফলো করত না,মানে ইসলাম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানত না।সবার ওয়াজ শুনত আর ভাবত মৌলবি সবাইকে মানা যায়।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লাহর নামে কসম করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব।কসমের মুহূর্তে মনে মনে শিরকির চিন্তাভাবনা চলে আসলে শিরক হবে না।

আল্লাহর নাম উচ্ছারণ না করে শুধুমাত্র ওয়াদা করলে, সেই ওয়াদাকে রক্ষা ওয়াজিব নয়।হ্যা, রক্ষা অবশ্যই উত্তম কাজ।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।