আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
349 views
in পবিত্রতা (Purity) by (25 points)
আসসালামু  আলাইকুম।

অনেক সময় কোনো এক ওয়াক্তে পিরিয়ডের স্রাব আসে।তারপর অনেকক্ষন কিছু আসেনা।২ ৩ ওয়াক্ত পার হয়ে যাওয়ার পর আবারো পিরিয়ডের স্রাব আসে।এখন কোনো ওয়াক্ত যদি স্রাব আসে,তারপর বেশ অনেকক্ষন না আসে,কিন্তু আমার আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ধারনা থাকে যে এরপর আবারো আসতে পারে।তাহলে কি তখনি গোসল করে নামায পরতে হবে নাকি অপেক্ষা করবো।কারন ধারনা থাকে যে আবার আসতে পারে।অপেক্ষা করতে গিয়ে যদি কয়েক ওয়াক্ত পার হয়ে যায় তাহলে কি গুনাহ হবে?

যেমন কারো আসরের ওয়াক্তে একটু লাল হলুদ স্রাব আসলো।তারপর মাগরিব এশা ওয়াক্ত পেরিয়ে গেলেও কিছু আসলো না।কিন্তু তার ধারনা ছিল যে আবার হয়তো পিরিয়ডের স্রাব আসবে।তাই সে গোসল করলো না।এই অপেক্ষার কারনে কি গুনাহ হবে?আবার হয়তো ফযরের পর তার আবার হলুদ স্রাব আসলো।

আবার এমন হতে পারে যে আসরের ওয়াক্তে কারো একটু হলুদ স্রাব  হলো।আর আসরের ওয়াক্তাতে কোনো রক্ত আসলো না। অভ‍্যাস অনুযায়ী এদিন গুলোর যেকোনো সময় সেরে যেতে পারে।তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ধারনা হলো যে এর পরে সেরেও যেতে পারে,আবার নাও সারতে পারে।তাই সে আসরের ওয়াক্ত পেরিয়ে মাগরিবের ওয়াক্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করলো।তারপরও আর রক্ত না আসায় সে  মাগরিবের ওয়াক্তে গোসল করে মাগরিব সহ আসরের নামাযটা কাযা পরলো।

এই "আরো পিরিয়ড আসে নাকি এই জন‍্য অপেক্ষা করতে গিয়ে যে তার আসরের নামায কাযা হলো" এর জন‍্য কি তার গুনাহ হবে?নাকি আসরের ওয়াক্তে যে তার সামান‍্য হলুদ স্রাব এসেছিল,আর আসছিল না।তখনই তার গোসল করে নামায পরা উচিত ছিল?অপেক্ষা করা উচিত ছিল না?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



হাদীস শরীফে হায়েজ শেষ হওয়া মাত্র ফরজ গোসল করে নামাজ পড়ার কথা এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ سَمَاعَةَ - قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .
ইমরান ইবনু ইয়াজিদ (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিন্ত কায়স (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, তার ইস্তিহাযা হয়। তিনি মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হবে তখন সালাত ছেড়ে দেবে। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন গোসল করবে এবং তোমার ঐ রক্ত ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।

সহিহ, বুখারি হাঃ ৩০৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৫৯।

أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحِيضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي

হিশাম ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন হায়েয আসে তখন সালাত ছেড়ে দেবে, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে।
সহিহ, বুখারি ও মুসলিম।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেহ যদি স্বীয় অভিজ্ঞতার আলোকে প্রবল ধারনা রাখে যে আবারো হায়েজ আসবে,তাহলে সে গোসল না করে পরবর্তী আবারো হায়েজ আসার অপেক্ষা করতে পারবে।   
এমতাবস্থায় যদি পরবর্তীতে আর হায়েজ না আসে,তাহলে মাঝের নামাজ গুলির কাজা আদায় করবে।
আল্লাহ তায়ালা তার উক্ত নামাজ কাজা করার গুনাহ মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
শায়খ আর কেউ যদি হলুদ স্রাব দেখার পর বুঝে যে এরপর স্রাব আসতেও পারে আবার নাও পারে।এটাই শেষ হতে পারে।কোনো ওয়াক্তে এরকম তার একবার এসে আর আসছে না তখন সে যদি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাদাস্রাব আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে,আর এর মধ্যে একাধিক ওয়াক্ত পার হয়ে যায়। এরপর সাদাস্রাব দেখে এই কয় ওয়াক্তের নামায কাযা আদায় করে তাহলে কি গুনাহ হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...