আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।কোন একজন মেয়ের বিয়ে হয়েছে কিন্তুু নামিয়ে নেয় নি।মেয়েটার বাবার বাড়িতে এখনো মেনে নেয় নি।তাই তারা কেউ না জানে মত একান্তে দেখা করে।তহ মেয়েটির মাগরিবের আগে বাসায়,যেতে হবে তাই সে স্বামীকে তাড়াতাড়ি করতে বলতেছে মানে বের হতে বলতেছে তাড়াতাড়ি। স্বামী বলে আর ২০ মিনিট বস আর ৩০ মিনিট এভাবে বলতেছে।তবু যখন তাড়াতাড়ি করতে বলতেছে স্বামী বলে তুমি যাও।এরপর স্ত্রীর মনে সন্দেহ আসে কোন তালাকের নিয়তে বলেছে কিনা কিন্তুু তাদের মধ্যে কথাকাটি ও হয় নাই সব স্বাভাবিক। সে স্বামীকে বলে আমাকে ছড়ে দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসছিল ? স্বামী  বলে এইরকম চিন্তা কেন মাথায় আসবে? তারপর আরো কিছুক্ষণ থাকার পর স্ত্রী বলে  এবার চল। তাড়াতাড়ি করতেছে স্ত্রী। স্বামী বলে তুমার দেরি হলে তুমি যাওগা,একা যেতে পারবে? স্ত্রী কিছু বলে নি।ওর আবার ভয় হচ্ছে কেন বলেছে স্বামি কোন নিয়তে বলেছে সেটা ভেবে।স্বামী স্ত্রী হেসে হেসে কথা বলতেছিল।স্বামী এরপর বলতেছে রেগে গেছ? স্ত্রী কিছু বলে নি, আসার  সময় স্ত্রী বলতেছিল তুমাকে না বলছি চলে যাও এ ধরনের কথা না বলতে?স্বামী হাসতেছে কিছু বলে নাই।এতে কি তালাক হবে? স্ত্রীর কি আর জিগ্যেস করা উচিত হবে?কারন তাদের মাঝে কথাকাটি ও হয় নাই।

২।স্বামী স্ত্রী বিয়ের আগে স্কুল লাইফ থেকে তাদের সম্পর্ক।তহ স্ত্রী বলতেছে আমি যদি এতদিন পর তুমার লাইফে আসতাম তখন না এসে কথা বলতা আমার সাথে? স্বামী বলে না বলতাম না,টাইম নাই বলতাম যে।এসব কথা,দ্বারা কি তালাক হবে?

৩।ধরেন কেউ তালাক হয়েছে কিনা জানে না তার মাথায় সবসময় ওয়াসওয়াসা ঘুরে বেড়ায়।সে যদি মুনাজাতে বা মনে মনে বলে" ও(স্ত্রী) যদি আমার স্ত্রী এখনো থাকে তাহলে আমার জন্য রাখ।আমার জন্য,যেটা ভাল হয় সেটা করেন ও(স্ত্রী) যদি আমার জন্য ভাল হয় রাখেন নয়ত দূরে সরিয়ে নেন।যেনার শাস্তি দিয়েন না।" আল্লাহর সাথে  এভাবে কথা বললে বা চাইলে কি তালাক হয়ে যায়? সে চায় না তালাক হোক।সে যেনার ভয়ে এসব মোনাজাতে বা সেজদায় বলে।

আর এসব কথা স্ত্রী বললেও কি তালাক হবে? যাকে স্বামী তালাকের অধিকার  দিছে।

৪।ধরেন একটা বিষয়ে ফতোয়া ২ জন মুফতি সাহেব ২ রকম দিয়েছে।নিশ্চয় ২ জনই বিজ্ঞ  মুফতি সাহেব।তহ যে কোন একজনেরটা কি গ্রহন করা যাবে? যে প্রশ্ন করেছে সে মুফতি সাহেব ২ জনকেই ফলো করে।সবসময় ২ জনের কাছে প্রশ্ন করে।নিশ্চয় ওনারা অনেক ভাল জানেন।এতে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো তালাক হবেনা।
 
(০২)
এসব কথার দ্বারা তালাক হবেনা।

(০৩)
আল্লাহর সাথে এভাবে কথা বললে বা চাইলে  তালাক হয়ে যায়না।

আর এসব কথা স্ত্রী (যাকে স্বামী তালাকের অধিকার  দিয়েছে) বললেও তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...