আমি সবসময়ই পাক পবিত্র থাকি । খুব পরিষ্কার থাকি । কিন্ত গত দুইদিন আগে তাড়াহুড়ার কারনে আমার হাতে পায়ে শরীরে সব জায়গাতেই প্রস্রাবের ছিটা লেগেছিল। আমি এই হাত ভেজা অবস্থাতেই বাথরুমের বালতি, মগ,ট্যাপ, বদনা সবকিছু ধরেছি। এমন সময় বাসায় শিক্ষক আসায় আমি কোনো কিছু না ধুয়েই বাথরুম থেকে আসি। আমি জানতাম যে আমার শরীর, কাপড়, হাত, পা নাপাক। তবুও বের হয়ে আসি ।এতে পাপোশ নাপাক হয়ে যায়। আমার শিক্ষক আমাকে এক ঘন্টার মতো পড়িয়েছেন। এর মধ্যেই সেই বাথরুমে আমার বোন ও বাবা প্রস্রাব সারে এবং ঐ বদনা ব্যবহার করেই ইস্তিঞ্জা করেন। ঐ বালতি, মগ ব্যবহার করেই আমার মা কাপড় ধুয়ে দেন। এতে সবকিছু নাপাক হয়ে যায়। তারা ভেজা হাতে যা যা স্পর্শ করেছেন সবকিছুই নাপাক হয়ে যায়। এমনকি আমার মা ঐ অবস্থাতেই রান্না করেন। এখন আমার বাড়ির প্রায় সবকিছুই নাপাক। এই ঘটনা ঙটার দুইদিন হলো আজ। কিন্তু এখন সেই বালতি, বদনা, মগ, পাপোশ, কাপড় কোনো কিছুতেই কোনো চিহ্ন বা গন্ধ নেই। হয়তো ব্যবহার করতে করতে নাপাকী নিঃশেষ হয়ে গেছে। বা থাকলেও অল্প পরিমাণে আছে তাই।
এখন আমার পক্ষে তো আর এতোকিছু ধোয়া সম্ভব না। আমার বাড়ির প্রায় সবকিছুই নাপাক। সবকিছু কী আদৌ ধোয়া সম্ভব । আর আল্লাহ তো তার বান্দাদের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। তিনি তো ক্ষমাশীল। আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে সবকিছুকে পাক ধরে নামাজ শুরু করেছি। তিনি তো পরম দয়ালু। ইসলাম তো আর কঠিন নয়। ইসলাম ধর্ম অনেক সহজ।
আমি এখন কী করতে পারি জানাবেন? আমি কী সবকিছুকে পাক ধরব?
বিশ্বাস করেন আমি গত দুইদিন অনেক কেদেছি। আমি এতোটা পরিমানে ছটফট করেছি আর এতোটা কেঁদেছি যে গতকাল আমার বাবা মা আমাকে সাইকোলোজিস্ট এর কাছে নিয়ে যান। আমি উনাকেও সব খুলে বলেছি।
কী আর বলব হুজুর যেই মানুষ সবসময়ই পাক পবিত্র ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তার সাথে এমন হলো। আমি মানসিক শান্তি পাচ্ছি না। আবার বাস্তব জীবনে এতোকিছু ধোয়া সম্ভব নয়।মানুষ তো আর ফেরেশতা না। আল্লাহ হয়তো আমাকে পরীক্ষা করার জন্য এরকম দিয়েছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও আমি আল্লাহ কে ডাকি কিনা।
কী করতে পারি হুজুর বলে দিন। যদিও এটি তো একটি ভুল। না জেনে করা ভুল না। কিন্তু ভুল তো ভুলই হয়। মানুষ তো ভুল করবেই।
গত মাসে যে প্রশ্নটি করেছিলাম সেটাতে আমি না জেনে ভুল করে সবকিছু নাপাক করে ফেলেছিলাম। কিন্তু এইবার তো আমি না জেনে করিনি । দুইটি প্রশ্নের মধ্যে মিল হলো যে দুই ক্ষেত্রেই বাড়ির প্রায় সবকিছু নাপাক হয়ে গেছে। কিন্ত যেটা হয়ে গেছে সেটা তো আর ঠিক করা যাবে না।
আমি এ?খন কী করব