আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি দুটা মেল ফিমেল খরগোশ লালন করি। তারা এখন ছোট কিন্তু তাদের প্রাপ্ত বয়স হলে প্রজনন করতে চাইবে। আর ফিমেল খরগোশের বারবার ব্রিড করলে ওদের স্বাস্থ্যের মারাত্বক ক্ষতি হয়...জরায়ু ক্যান্সার, একদম দুর্বল হয়ে যাওয়া, মা ও বাচ্চার মৃত্যুও হয় আর এগুলো মারাত্বক সমস্যা খরগোশদের। আমি পালন করলে ওদেরকে পর্যাপ্ত ঘাস, দৌড়াদৌড়ির স্পেস, ক্লিনিং রেগুলার করতে হয় এবং সম্পূর্ণ মানুষের ওপর নির্ভরশীল।বাচ্চা দিলে ১০/১২টা দিবে আর এতো বাচ্চা বাসায় রাখার মতোও নেই সাথে এতো খাবার দেওয়াও সমস্যা। এটা এমন এক প্রাণী যে রাস্তা ঘাটে থাকলে কুকুর বিড়াল, ইঁদুর খেয়ে ফেলে সার্ভাইভ করতে পারেনা। দোকানে যারা কেনাবেচা করে তারা খুবই অযত্নে অবহেলায় পালন করে এবং পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়না, বাচ্চাদের ২মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাবে কিন্তু এই দুধের বাচ্চাদের ১মাস হতে না হতেই সেল করে দেয় এতে তারা অপুষ্টিতে ভোগে পরে মারা যায়। যে মানুষেরা কিনে নেয় সবাই যত্ন সেভাবে নেয়না বা বারবার ব্রিডিং করায়,ওদের হাতেও মারা যায় প্রায়সময়।
নিউটার করানোর ফলে ঘন ঘন ব্রিড থেকে রেহাই পাবে এবং ফিমেল খরগোশটি একসাথে থাকলে তার কোনো সমস্যাও হবেনা, দীর্ঘদিন বাঁঁচবে সুস্থতার সাথে এবং অসাধু ব্রিডার, লোক এদের থেকেও বাচ্চাগুলো রেহাই পাবে।

বিড়াল, কুকুরদের নিউটার এর কথাটি আলাদা তারা একা একা রাস্তায় থাকতে পারে কিন্তু খরগোশ ওপর মেল খরগোশ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনা, সেলারদের অত্যাচার থেকেও রেহাই পায়না এবং নিজে নিজে রাস্তাঘাটে সার্ভাইভ করতে পারে না। ব্রিডিং ওদের জন্য খুবই খারাপ ওদের স্বাস্থের জন্য সকল ভ্যাটের ডক্টর একমত। অনেক কেস পাওয়া গেছে এর ফলে খরগোশ মারা গিয়েছে ক্যান্সার হয়ে। এক্ষেত্রে আমি কী নিউটার করাতে পারি ওদের এই সুস্থতার কথা চিন্তা করে? যাতে তারা আমার মাধ্যমে সুস্থ ও সুন্দর একটা পরিবেশ আর জীবন পায় আল্লাহ চাইলে। তাদের পরিস্থিতিটি বিবেচনায় রাখবেন মুহতারাম দয়া করে। আমার জন্য কী করা সঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

ওয়া আলাইমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/37032 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)

প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।
(১)প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)

(২)প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা  এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/10998

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা প্রয়োজনে বিড়ালকে খাসি বানানো যাবে না,জায়েয হবে না।বিড়ালটিকে আপনি তাড়িয়ে দিতে পারেন।তাকে ঘরে লালন পালন করার জন্য তো কেউ আপনাকে চাপ দিচ্ছে না। তাকে তার উপর ছেড়ে দিন।তার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।(শেষ)

আপনি যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন,নিউটার করানোর জন্য এসব কারণ যথেষ্ট নয়। আল্লাহ প্রাণী তৈরী করেছেন, তার দেখাশোনা আল্লাহ নিজেই করবেন।তার অস্থিত্বের প্রয়োজন যতদিন থাকবে,ততদিন আল্লাহ তাকে এই পৃথিবীতে বাছিয়ে রাখবেন।দেখুন,যেহেতু কুকুর বিড়াল ইত্যাদি এগুলোকে মেরে ফেলে সেইজন্য আল্লাহ একটি থেকে ১০/১২ বাচ্ছা বের করেন। সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ কারী আল্লাহ।সুতরাং আল্লাহ সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করবেন।'


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
reshown by
উস্তাযজি আপনি কুকুর বিড়ালের কথা বলছেন কিন্তু আমি তো কুকুর বিড়ালের কথা বলিনি, খরগোশের কথা বলেছি। কুকুর বিড়াল নিজে নিজে ঘুরে ফিরে খেয়ে বাঁচতে পারে কিন্তু খরগোশ পারেনা। তার সম্পূর্ণ ওনারের ওপর নির্ভর করতে হয়। মেলের সাথে রাখলে ঘন ঘন ব্রিডিং এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত এমনকি ক্যান্সারও হওয়ার সম্ভাবনা ৯৮% থাকে। অপরদিকে সেলাররা অসাধু উপায় অবলম্বন করে সেল করে তাদের প্রাপ্য মায়ের দুধটাও খেতে দেয় না। তাদের শারীরিক কন্ডিশন এমন হলেও নিউটার জায়েজ হবে না? একটা প্রাণী এভাবে কষ্টে মারা যাবে বারবার জন্ম দেওয়ার ফলে তবু এর কোনো সমাধান নেই? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...