ওয়া আলাইমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/37032 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)
প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।
(১)প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)
(২)প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/10998
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা প্রয়োজনে বিড়ালকে খাসি বানানো যাবে না,জায়েয হবে না।বিড়ালটিকে আপনি তাড়িয়ে দিতে পারেন।তাকে ঘরে লালন পালন করার জন্য তো কেউ আপনাকে চাপ দিচ্ছে না। তাকে তার উপর ছেড়ে দিন।তার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।(শেষ)
আপনি যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন,নিউটার করানোর জন্য এসব কারণ যথেষ্ট নয়। আল্লাহ প্রাণী তৈরী করেছেন, তার দেখাশোনা আল্লাহ নিজেই করবেন।তার অস্থিত্বের প্রয়োজন যতদিন থাকবে,ততদিন আল্লাহ তাকে এই পৃথিবীতে বাছিয়ে রাখবেন।দেখুন,যেহেতু কুকুর বিড়াল ইত্যাদি এগুলোকে মেরে ফেলে সেইজন্য আল্লাহ একটি থেকে ১০/১২ বাচ্ছা বের করেন। সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ কারী আল্লাহ।সুতরাং আল্লাহ সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করবেন।'