বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2570 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাযে নিম্নস্বরে কেরাতের সর্বনিম্ন সীমা হল, জবান নাড়িয়ে তেলাওয়াত করা।এ বিষয়ে সবাই একমত।তবে আওয়াজ কি নিজ কান দ্বারা শ্রবণ শর্ত? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি।বিশুদ্ধ কথা হল,নিম্নস্বরে তেলাওয়াত এমনভাবে করতে হবে, যাতে নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা যায়।এবং এটাই উত্তম। এবং ইহাই নামাযকে ফাসাদ থেকে বাঁচিয়ে রাখার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। তবে যেহেতু কেউ কেউ যেমন ইমাম কারখী রাহ নিজের কর্ণ দ্বারা শ্রবণকে জরুরী মনে করেন না।তাই কেউ যদি জবান নাড়িয়ে এমনভাবে তেলাওয়াত করে নেয় যে,সে নিজের কর্ণ দ্বারা তা শ্রবণ করেনি।তাহলেও তার নামায হয়ে যাবে।যদিও এটা অনুত্তম ভাবে আদায় হয়েছে।
কিন্তু যদি কেউ জবান না নাড়ায়,বরং অন্তরে অন্তরে তেলাওয়াত করে নেয়,তাহলে এ তেলাওয়াত নামাযের জন্য যথেষ্ট হবে না।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/২০৪)
আরো বর্ণিত রয়েছে-তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/১২৭,বাহরুর রায়েক-১/৩৫৬
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফিস ফিস করে না পড়ে বরং এতটুকু আওয়াতে পড়বেন যে নিজে শুনবেন।এগুলো হল, সির্রি নামায তথা নিম্নস্বরের নামাযের বিধান। আর উচ্ছস্বরের নামাযে উচ্ছস্বরে পড়তে পারবেন।নারীরা নিজ গৃহে উচ্ছস্বরে সূরা পড়তে পারবে।তবে গায়রে মাহরাম যাতে না শুনে সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
সূরা ব্যতিত বাদবাকী তাকবির গুলো নিম্নস্বরেই পড়তে হবে।