বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
সম্ভবত এই প্রশ্ন আপনি ইতিপূর্বেও করেছিলেন।
কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা শরীয়তের দলীল হতে পারে না।মিথ্যা বলা জায়েয হওয়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/644
উক্ত ঘটনার বিবরণ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়, তবে উক্ত ঘটনার নিচকই একটি ঘটনা।এটাকে দলীল প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
(খ)
জ্বী, কুরবানির সময় এভাবে নাম লেখার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(গ)
মুখভরে বমি করলে রোযা ভাঙ্গে ইটাইতো আমরা জানি।সফরের হালতের ভিন্ন বিধান সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।
(ঘ)
https://www.ifatwa.info/2208 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
بقي في المكروهات أشياء أخر ذكرها في المنية ونور الإيضاح وغيرهما: منها الصلاةبحضرة ما يشغل البال ويخل بالخشوع كزينة ولهو ولعب، ولذلك كرهت بحضرة طعام تميل إليه نفسه
নামাযের মাকরুহ সমূহের মধ্যে আরো মাকরুহ হলো,এমন কিছুর উপস্থিতিতে নামায পড়া যা নামাযীর মনযোগ কে নষ্ট করে।এবং খুশু খোজুর মধ্যে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে দেয়।যেমন নামাযের স্থানকে বেশ সুন্দর্য মন্ডিত করে তোলা বা সেখানে খেলাধুলার জিনিষ রাখা।এজন্যই খানা সামনে রেখে নামায পড়া মাকরুহ।কেননা তখন খানার দিকেই মন চলে যায়।(রদ্দুল মুহতার-১/৬৫৪)
নামাযি ব্যক্তির সামনে কিছু লিখা থাকলে,সেটা যদি নামাযি ব্যক্তি পড়ে নেয়, তাহলে এটা মাকরুহ হবে।তবে নামায ফাসিদ হবে না।
(ঙ)
এটা হাদীসে তাখয়ীলি। তাখয়ীলির মতলব হল, এটা বাস্তব কোনো ঘটনা ছিলনা, বরং জিবরাইল আঃ নবী সাঃ এর কাছে এসে বর্ণনা করেছেন।তাই তিনিও বর্ণনা করেছেন।
অথবা সাহাবাদেরকে যে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, এটা ঐ কবরের ঘটনার পরে করা হয়েছে।
(চ)
ইফতারের সময় আযানের জবাব দেয়া মাকরুহ হিসেবে কোথাও বর্ণিত নেই।বরং সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী জবাব দিতেই হবে। ইফতার তারাতারি এর অর্থ এ নয় যে, আযানের সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে।বরং ইফতার করতে যে ইশা বা ইশার পরবর্তী ওয়াক্ত কিংবা মধ্যরাত পর্যন্ত দেড়ী না করা।
(ছ) নির্ভর্যোগ্য কোনো সূত্রে বর্ণিত হয়নি।
(জ)
কেউ কেউ শিরকের কথা বলেন, তবে যে কারণে তারা শিরক বলেন, অর্থাৎ আরবি গ্রামারিক কারণে, সেটাকে কেউ কেউ অস্বীকার করে ভিন্ন তাবীল করে থাকেন।
(ঝ)
জ্বী, হাদীসের বাহিরে কোনো দরুদের নির্ধারিত ফযিলত নেই।তবে ভালো ও উত্তম কথা হিসেবে সেই সব দুরুদকে নিন্দনীয় ভাবা যাবে না।
(ঞ)
তারা কেন বলেন, তারাইতো ভালো জানেন।সকল দলই নিজেকে হক মনে করে থাকে।