আসসালামু আলাইকুম,
শায়েখ আমার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা দরকার। আমি আলহামদুলিল্লাহ পর্দা করি। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া শপিং এ না যেতে চেষ্টা করি।
বাসায় কিনে দিতে বললে বাবা,ভাই পারবেনা, বুঝবেনা অত্যাদি বলেন। তাই আম্মুই সব কিনে। উনি পর্দা করেন না।
ফেরিওয়ালারা আসলে তাদের সামনে বেপর্দা হিশেবেই যান ও কাপড়,হাড়িপাতিল,মাছ ইত্যাদি কিনেন। আমি বিষয়টা সমর্থন করিনা। কিন্তু উনি পর্দা করতে নারাজ।
তাই আমি উনাকেই সব বলি কিনে দিতে যা যা লাগে। উনি বেপর্দা ভাবেই ফেরিওয়ালা থেকে কিনে দেন।
১/ আমার জিনিসগুলো কিনার জন্য যে বেপর্দাভাবে মার্কেটে,বাজারে,ফেরিওয়ালার সামনে যান এতে আমি গুনাহগার হবো কি? কারণ আমিই পাঠাচ্ছি। জানি বেপর্দা ভাবেই যাবেন। কিন্তু অনেক বুঝিয়েও লাভ হয়নি।
বাসায় আমার বাবাও বেপর্দা অবস্থা ওনার বাজারে যাওয়া সমর্থন করেন৷ তাই বাবাকে বলেও লাভ নেই।
আমি অনেক কিছুই অনলাইন থেকে নিয়ে নি। কিছু জিনিস মাত্রাতিরিক্ত দাম যা কেনা সাধ্যের বাইরে অনলাইনে। তাই তা ফেরিওয়ালা বা লোকাল দোকান থেকেই কিনতে হয়।
আমি পর্দা করে বাবার সাথে গিয়ে কিনবো একে তো উনারা বিরক্ত হোন,দিতীয়ত আমার গুনাহ হয়।
২/ বাসে চড়তে চাইনা অনেক বুঝানোর পরও টেম্পু ছেড়ে বাসে চড়তে হয়। এতে পুরুষদের সাথে সংঘর্ষ হয়া থেকে বাচা যায়না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। ঊঠেই মহিলা সিটে বসার। কিন্তু অন্যদের কি বুঝাবো আমার মাহরামরাই আমার অতি সাবধানতায় আমার উপর বিরক্ত। আমার আপসেট লাগে। কিছু করার নেই। বলে দিয়েছে সিএঞ্জিতে নিজের খরচে চলতে।
এতে আমি গুনাহগার হবো কি?
৩/ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া আমি বের হইনা। যেটা আমি ছাড়া হবেই না তাতে যাই। আমার পুরো পরিবার,আত্মীয়, সবাই সেকুলার,মডারেট নয়তো নন প্র‍্যাক্টিসিং।
মাহরামদের সাথে সফরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আজ বছর খানেকের বেশি লড়াই করেছি। উনারা বিরক্ত প্রচন্ড। আমাকে বোঝা মনে করে।
ইমোশনাল, লজিক্যাল সবভাবেই বুঝিয়েছি৷ বাসায় ২ জন মাহরাম আমার। বাবা ও ভাই।
একা যেতে বলে। উনাদের সময় হবেনা, হলেও পারবেনা, সময় নষ্ট, ভেজাল মনে করে।
আমি বাইরে নিরাপদ অনুভূত করিনা। তাই মাহরাম সহই যাই।
এখন একান্ত বাধ্য হয়ে একা যাওয়া আসা করলে আমি গুনাহগার হবো কি? আমি চাইনা শায়েখ, আমি অনেক লড়াই করেছি। এখন ক্লান্ত লাগছে। প্রত্যেকবার তর্ক, অপমান আর নিতে পারছিনা।
(দীনি বোনের বাসায় যাই নেক সহবত পেতে। আড্ডা দিতে না। হালাল বিনোদন, কাউন্সেলিং পেতে,তালিম।
উনারা নিয়ে যেতে ও আনতে পারবেন না। আমিতো রোবট না। হারাম সব বিনোদন ছেড়ে দিয়ে এখন হালাল বিনোদন প্রয়োজন হয়। নয়ত গুনাহে আসক্তি আসে।আস্তাগফিরুল্লাহ।
এ ছাড়া আর কোনো বিনোদন নেই আপাতত।)