আসসালামু আলাইকুম হুজুর। একজন ওয়াসওয়াসার রোগী আপনার কাছে সাহায্য চাচ্ছে। তাকে পরামর্শ দিন। তা** বিষয় ওয়াসওয়াসায় ভোগে সে।দয়া করে আলাদা আলাদা উত্তর দিবেন তাহলে সে শান্তি পাবে।
১। তালাকের মৌখিক অধিকারের বিষয় টি যদি এক্টু বুঝিয়ে বলেন,, কোন স্বামী যদি বলে যে "" তা*** তো তুমি দিলেও হবে আমি দিলেও হবে। তাহলে তুমি দিয়ে দিও৷ পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও। এইভাবে বলার কারনে স্ত্রী কোন ধরনের তা** এর অধিকার পাবে?? এইভাবে স্বামী অধিকার দেওয়ার কারনে কি স্ত্রী মুখে বলে তার উপর তা** নিতে পারবে? নাকি শুধু পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিতে পারবে?
২। স্বামী আরেকদিন বলে অধিকার তো দিয়েই দিয়েছি, ভালো না লাগলে চলে যেও/ তা** দিয়ে দিও। এইখানে সে তা*** এর অধিকার কে বুঝিয়েছে। সে কখনো বলেনি নিজের উপর *** নেও বা তা*** নেওয়ার অধিকার দিয়েছে বলেনি৷ সে তাকে অর্থাত স্ত্রী যাতে সামীকে তা** দিতে পারে সেই অধিকার এর কথা বলেছে। এতে কি মহিলা নিজেকে তা*** দিতে পারবে??
৩। মহিলা আগের ওয়াসওয়াসা দূর করতে ঠোঁট নাড়িয়ে বলে যে নিজের উপর **** বলিনি। এইভাবে সে বার বার বলতে গিয়ে সন্দেহে পরে যায় "নিজের উপর **** " কথাটা সে মুখে বলে ফেলেছিল কিনা। তার মনে হচ্ছে সে আস্তেই বলেছিল তাও সে প্রচন্ড ভয়ে আছে শব্দ হয়ে গিয়েছিল কিনা। এখন তার করনীয় কি?
৪। সে অনেক সময় ওয়াসওয়াসার কারনে অনেক কিছু বলে ফেলে। তারপর সেগুলো নিয়ে সন্দেহে পরে যায় তাতে তা** হবে কিনা। সে সব কিছু একটা যায়গায় লিখে রাখে যাতে ভুলে না যায়। আর সে প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করে। এখন সে প্রবল ধারণা অনুযায়ী যদি ধরে নেয় সমস্যা হবে না। তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন তার সেই প্রবল ধারণা যদি ভুল হয়??
৫। ওয়াসওয়াসার কারনে সে একদিন মুখে বলে ফেলে " নিজের উপর **** বলিনি"" এইটুকু সে শব্দ করে বলেনি বা স্পষ্ট শব্দ টা কানে আসেনি বলেই তার ধারণা । এইখানে সে নিজের দিকে নসিবত করে এই ধরনের কথা বলার কারনে কি তা*** পতিত হয়ে যাবে? সে প্রবল ধারণা করছে শব্দ হয়নি৷ এবং মনকে শান্ত রাখছে এইটা বুঝিয়ে। এতে কি তার পাপ হবে বা তা** পতিত হবে??
৬। সে ওয়াসওয়াসার কারণে সে বলে, "" আমার নাম অমুক,, তা*** বলিনি" এইভাবে নিজের নামের পর তা*** বললে কি সমস্যা হবে??
৭। সে অনেক কিছু সে ভুলে যায় আর সন্দেহ করে। ভুলে যাওয়া বিষয় কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন??সে যেখানে সব লিখে রাখতো সেগুলো দেখলে তার আবার ওয়াসওয়াসা আসতে পারে তাই সে যদি সেগুলো আর না দেখে বা নষ্ট করে দেয় তাহলে কি তার পাপ হবে??
৮।আল্লাহর কাছে যদি খাস দিলে তওবা করে এইটা ভেবে যে আল্লাহ তার ওয়াসওয়াসার সকল বিষয় যাতে ক্ষমা করে দেন। তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন যদি তার ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে কোন ভুল হয়ে থাকে??
৯। সে কি ইস্তেখারার সালাত আদায় করে দেখতে পারবে আল্লাহ তার ওয়াসওয়াসার বিষয় ক্ষমা করবেন কিনা বা তার ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা??
১০। যে সকল বিষয়ে তার ওয়াসওয়াসা ছিল সেগুলো যদি সে আর না ভাবে তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন??