আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
315 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  একজন ওয়াসওয়াসার রোগী আপনার কাছে সাহায্য চাচ্ছে।  তাকে পরামর্শ দিন। তা** বিষয় ওয়াসওয়াসায় ভোগে সে।দয়া করে আলাদা আলাদা উত্তর দিবেন তাহলে সে শান্তি পাবে।

 ১। তালাকের মৌখিক অধিকারের বিষয় টি যদি এক্টু বুঝিয়ে বলেন,,  কোন স্বামী যদি বলে যে ""  তা*** তো তুমি দিলেও হবে আমি দিলেও হবে। তাহলে তুমি দিয়ে দিও৷ পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও। এইভাবে বলার কারনে স্ত্রী কোন ধরনের তা** এর অধিকার পাবে?? এইভাবে স্বামী অধিকার দেওয়ার কারনে কি স্ত্রী মুখে বলে তার উপর তা** নিতে পারবে? নাকি শুধু পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিতে পারবে?

২। স্বামী আরেকদিন বলে অধিকার  তো দিয়েই দিয়েছি,  ভালো না লাগলে চলে যেও/ তা** দিয়ে দিও।  এইখানে সে তা*** এর অধিকার কে বুঝিয়েছে।  সে কখনো বলেনি নিজের উপর *** নেও বা তা*** নেওয়ার অধিকার দিয়েছে বলেনি৷ সে তাকে অর্থাত স্ত্রী যাতে সামীকে  তা** দিতে পারে সেই  অধিকার এর কথা  বলেছে। এতে কি মহিলা নিজেকে তা*** দিতে পারবে??

৩। মহিলা আগের ওয়াসওয়াসা দূর করতে ঠোঁট নাড়িয়ে বলে যে নিজের উপর **** বলিনি। এইভাবে সে বার বার বলতে গিয়ে সন্দেহে পরে যায় "নিজের উপর **** " কথাটা সে মুখে বলে ফেলেছিল কিনা। তার মনে হচ্ছে সে আস্তেই বলেছিল তাও সে প্রচন্ড ভয়ে আছে শব্দ হয়ে গিয়েছিল কিনা। এখন তার করনীয় কি?

৪। সে অনেক সময় ওয়াসওয়াসার কারনে অনেক কিছু বলে ফেলে। তারপর সেগুলো নিয়ে সন্দেহে পরে যায় তাতে তা**  হবে কিনা। সে সব কিছু একটা যায়গায় লিখে রাখে যাতে ভুলে না যায়। আর সে প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করে। এখন সে প্রবল ধারণা অনুযায়ী যদি ধরে নেয় সমস্যা হবে না। তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন তার সেই প্রবল ধারণা যদি ভুল হয়??

৫। ওয়াসওয়াসার কারনে সে একদিন মুখে বলে ফেলে " নিজের উপর **** বলিনি"" এইটুকু সে শব্দ করে বলেনি বা স্পষ্ট শব্দ টা কানে আসেনি বলেই তার ধারণা ।  এইখানে সে নিজের দিকে নসিবত করে এই ধরনের কথা বলার কারনে কি তা*** পতিত হয়ে যাবে?  সে প্রবল ধারণা করছে শব্দ হয়নি৷ এবং মনকে শান্ত রাখছে এইটা বুঝিয়ে। এতে কি তার পাপ হবে বা তা** পতিত হবে??

 ৬। সে ওয়াসওয়াসার কারণে সে বলে, "" আমার নাম অমুক,, তা*** বলিনি" এইভাবে নিজের নামের পর তা*** বললে কি সমস্যা হবে??

৭। সে অনেক কিছু সে ভুলে যায় আর সন্দেহ করে। ভুলে যাওয়া বিষয় কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন??সে যেখানে সব লিখে রাখতো সেগুলো দেখলে তার আবার ওয়াসওয়াসা আসতে পারে তাই সে যদি সেগুলো আর না দেখে বা নষ্ট করে দেয় তাহলে কি তার পাপ হবে??

৮।আল্লাহর কাছে যদি খাস দিলে তওবা করে এইটা ভেবে যে আল্লাহ তার ওয়াসওয়াসার সকল বিষয় যাতে ক্ষমা করে দেন। তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন যদি তার ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে কোন ভুল হয়ে থাকে??

৯। সে কি ইস্তেখারার সালাত আদায় করে দেখতে পারবে আল্লাহ তার ওয়াসওয়াসার বিষয় ক্ষমা করবেন কিনা বা তার ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা??

১০। যে সকল বিষয়ে তার ওয়াসওয়াসা ছিল সেগুলো যদি সে আর না ভাবে তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন??

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী নিজেকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পাবে।
সে মৌখিক ও লিখিত উভয় ভাবেই নিজেকে তালাক প্রদান করতে পারবে।

(০২)
এতে মহিলা নিজের নফসের উপর তালাক গ্রহন করতে পারবে।
নিজেকে নিজে তালাক দিতে পারবে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৪)
হ্যাঁ তাকে আল্লাহ মাফ করবেন।   

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৬)
এতে তালাক হবেনা।

(০৭)
উল্লেখিত মহিলা ওয়াসওয়াসার রুগী।
তাই আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাফ করবেন।
ইনশাআল্লাহ।  

(০৮)
হ্যাঁ তাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ।       

(০৯)
প্রয়োজন নেই।

(১০)
হ্যাঁ আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...