আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমার আব্বু আর ভাইয়ার অনেক ঋণ আছে।আব্বু বেঁচে নেই।কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল।সুদসহ অনেক টাকা চলে আসছে।ভাইয়া অনেক টাকা ঋণ করে বিদেশ গেছে কিন্তু উপার্জন তেমন নেই।আমাদের খরচের জন্য টাকা দিলে ঋণ দিতে পারে না ঋণ দিলে খরচের টাকা কম দিতে পারে।অনেক ঋণ পরিশোধ করা বাকি এখনো।।

আল আরাফাহ ব্যাংক নিজেদের শরীয়া ব্যাংক হিসেবে দাবি করে।

১)আমার কি ঐ ব্যাংকে চাকরি করা জায়েজ হবে?ভাইয়া যেহেতু একজন ওনার পক্ষে এত ঋণ পরিশোধ করে সম্ভব হচ্ছে না।যারা টাকা পায় তারা ভাইকে অনেক গালাগালি করে।

২)আব্বু যে ঋণ নিয়েছেন ঐখানে ত সুদ আসছে। ঐ টাকা যদি সন্তানেরা পরিশোধ করে তাইলে কি গুনাহ্ হবে?যেহেতু আব্বু বেঁচে নেই।টাকা পরিশোধ না করলে পুলিশ কেইস হতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সূদি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হওয়া,সহযোগিতা করা ইত্যাদির কারনেই ব্যাংকে চাকুরী জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

ব্যাংকে চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাংক যদি বাস্তবেই ইসলামী শরীয়াহ পূর্ণ ভাবে মেনে ব্যাংক চালায়,যেমনটি প্রশ্নে দাবী করা হয়েছে,এর বিপরিত যদি কোনো কিছু প্রমাণিত না হয়, তাহলে সেখানে চাকুরী করা জায়েয হবে।   

তবে দেশের বিজ্ঞ ফুকাহায়ে কেরামগনদের তাহকীক হলোঃ দেশের কোনো ব্যাংকই শরীয়তের রুলস মানেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও  ব্যাংকে চাকুরী না করে অন্য কোনো হালাল ইনকামে যোগ দেবার পরামর্শ রইলো।

(০২)
বাবা ধন সম্পদ রেখে গেলে সন্তানদের অবশ্যই সেই ঋন বাবার সম্পদ হতে শোধ করতে হবে।
দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। 

এখন এখানে সূদ প্রদানে যে গুনাহ হবে,এর জন্য মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...