জবাবঃ-
(০১)
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে।
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি।
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। যে বিষয়ে যতটুকু কমতি আছে তাতে ততটুকু কমতির কথাই বলা উচিত। বাড়াবাড়ি করে বিদআতকে শিরক বলে দেওয়া অথবা তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শিরক হবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَسُبُّ ابْنُ آدَمَ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি, মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তান সময় ও কালকে গাল-মন্দ করে, অথচ আমিই সময়, আমার হাতেই রাত ও দিন (-এর বিবর্তন সাধিত হয়)।
(মুসলিম ৫৬৬৭)
حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي عُمَرَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ " .
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, সে সময়কে গালি দেয়, অথচ আমিই সময়, রাত ও দিন আমিই বিবর্তিত করে থাকি।
(মুসলিম ৫৬৬৮)
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ، الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَقُولُ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ . فَلاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ . فَإِنِّي أَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ لَيْلَهُ وَنَهَارَهُ فَإِذَا شِئْتُ قَبَضْتُهُمَا " .
আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহীয়ান-গরীয়ান আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, সে বলে, হায় সময়ের ফের-দুর্ভাগ্য! (আমার সময় মন্দ)! তোমাদের কেউ যেন ’হায় সময়ের ফের’ না বলে। কেননা আমিই তো সময়; আর রাত ও দিন আমিই পরিবর্তিত করে থাকি; যখন আমি ইচ্ছা করি, তখন তাদের দু’টিকে সংকুচিত করে দেই।
(মুসলিম ৫৬৬৯)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শিরক হবেনা।
তবে এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(০৩)
এতে শিরক হবেনা।
তবে মহান আল্লাহর শানে এহেন বাক্য বলার কারনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
ভবিষ্যতে এহেন বাক্য না বলার প্রতি ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে।
(০৪)
এতেও শিরক হবেনা।
ঈমান চলে যাবেনা।
তবে মহান আল্লাহর শানে এহেন বাক্য বলার কারনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
ভবিষ্যতে এহেন বাক্য না বলার প্রতি ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে।
(০৫)
এতে শিরক হবেনা।
(০৬)
না,শিরক নয়।
(০৭)
আপনার বাক্যের মধ্যে বস্তু গুলোকে ওসিলা হিসেব মানা হয়।
তাই সেগুলোকে শিরক বলা হয়না।
সেগুলো ওসিলা মাত্র।
এখানে কাহারো আকীদা ভুল হলে শিরক হবে।
(০৮)
এক্ষেত্রে শিরক হবেনা।
(০৯)
এতে শিরক হবেনা।
(১০)
১ম টি পালন করা শিরক নয়।
বিজাতীয় সাংস্কৃতি হওয়ায় নাজায়েজ।
তবে ২য় টি পালনের ক্ষেত্রে অনেক শিরকি মূলক কথা ও কাজ থাকে।
(১১)
এটি তার তার দোষ চর্চামূলক হলে ও তাহা অন্যের কাছে বললে গীবত হবে।
তবে এতে কেউ মুরতাদ হয়ে যায়না।
(১২)
এতে কেউ মুরতাদ হয়ে যায়না।
(১৩)
তখনও কালেমা শাহাদাত পড়ে ইমান আনতে হবে । বিবাহিত হয়ে থাকলে নতুন করে আবার বিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে।
(১৪)
এর জন্য কেউ মুরতাদ হয়ে যাবেনা।