আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
478 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

ঈলা চলা কালীন সময়ে স্বামী নিয়ত ছাড়াও  মানে তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়ে যায়?জানার  জন্য প্রশ্নটা করলাম।মানে স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকে।এখনো নামিয়ে নেই নি।শপথ করলেও ওদের মধ্যে সম্পপর্ক ভাল।মাঝে মধ্যে মনমালিন্যে হয়,আর কি।তহ ঈলা চলাকালীন সময়ে তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়?বলতে গেলে তখন তারা ঈলা কি সেটাই জানত না।পরে জানতে পারছে।কিন্তুু স্বামীর ছেড়ে দেওয়ার মন ছিল না। এমনিতে অভিমান করে শপথ করলেও পরে কয়েকমিনিট পর আবার ভালভাবে কথা হত ফোনে।যখন সময় পায় চলে আসে স্বামী।আর কেনায়া তালাক নিয়েও জানত না, জানার পর স্বামী বলেছে যে স্বামী তালাকের নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি।মানে মেসেজে কথা হয় তহ স্ত্রী তালাক চায়লেও স্বামী দেয়,নি।আর পর পর কেনায়া বাক্য বলেছে কিনাও  মনে নেই কারো।তহ আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া শব্দ না বলে আরো কিছু কথা হওয়ার পর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললেও তালাক হয় না

আমার প্রশ্ন ঈলা চলাকালীন সময়ে  এভাবে  মেসেজে পর পর না বলে কিছু সময় পর মানে কিছু সময় আরো ঝগড়া বা আরো কথা হওয়ার পর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
যেকোনো সময়েই হোক, নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললে (তালাকের মজলিস না হলে) কোনো তালাক হয়না। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেনায়া বাক্য বলার দরুন তালাক হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...