হাদিস শরীফে এসেছে
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৯৪)
ইবনে মাসউদের (রা.) হাদিসটি যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতারক জাহান্নামে যাবে না। এবং আবু বকর সিদ্দিক রা. থেকে বর্ণিত ‘অভিশপ্ত সে যে কোনো মুসলমানের ক্ষতি করে বা তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে।’ তিরমিজি বর্ণনা করেছেন। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকামি: ৯/৩৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আগে সেই সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী ও বেতনের মাসয়ালা জেনে নেইঃ
প্রশ্নে উল্লিখিত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি ছাত্র জীবনে নকল করে পরীক্ষা দেয়,আর সেই সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে চাকরি নেয়, তা হলে সে গুনাহগার হবে।
ফলে তার জন্য আন্তরিকভাবে তওবা করা আবশ্যক হবে। তবে ওই ব্যক্তি যদি সেই চাকরির জন্য যোগ্য হন এবং তিনি তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারেন, তা হলে সেই অবস্থায় বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে। কারণ বেতন বা মজুরি কর্মের বিনিময়ে হচ্ছে।
বেতন হালাল হওয়ার সম্পর্ক হলো দায়দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করার সঙ্গে।
আর যদি এমন হয় যে সেই ব্যক্তি ওই দায়িত্ব ও চাকরির যোগ্য না হয় অথবা চাকরির যোগ্য কিন্তু সঠিকভাবে দ্বীনদারির সাথে কাজ করে না, তাহলে তার বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে না।(অর্থাৎ যে পরিমাণ খিয়ানত হবে সে পরিমাণ বেতন হালাল হবে না।)
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নকলকারী সেই
এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে সে গুনাহগার হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বান্দার হকও নষ্ট হবে।
আরো জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)