আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
আগের ফতোয়া সব দেখেছি।এটা ভিন্ন কেস।

আমি এসএসসি, এইচএসসি দুটোতেই জিপিএ ৫ পেয়েছি। প্রায় পূর্ণ নকল করে।
আমি অনুতপ্ত। তওবা করবো।আর কখনো এমন করবো না।

সামনে ঢাকা ভার্সিটি, মেডিকেল এবং বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা।

এই ভর্তিপরীক্ষাগুলোতে পূর্বের (এসএসসি এইচএসসি) পরীক্ষাগুলোতে প্রাপ্ত জিপিএ ও যোগ হয়।।কিভাবে যোগ হয় বলি-

যেমনঃ

ধরুন বুয়েটে তিনশো নাম্বারে ভর্তিপরীক্ষা।

একশো নাম্বার বুয়েটে বসে ভর্তিপরীক্ষা দিতে হবে।

একশো নাম্বার এসএসসি তে প্রাপ্ত জিপিএ কে বিশ গুণ করে।

একশো নাম্বার এইচএসসি তে প্রাপ্ত জিপিএ কে বিশ গুণ করে।

মোট ৩০০

( কেউ যদি বুয়েটে বসে লিখিত পরীক্ষায় ১০০ তে ১০০ পায়,

এসএসসি তে তার জিপিএ ৫ (সর্বোচ্চ জিপিএ) থাকলে, সে ৫ গুন ২০=১০০ পাবে

এইচএসসি তে তার জিপিএ ৫ (সর্বোচ্চ জিপিএ) থাকলে, সে ৫ গুন;২০=১০০ পাবে

সর্বমোট তিনশো তে তিনশো মার্ক্স ই পাবে)

(>কেউ যদি বুয়েটে বসে লিখিত পরীক্ষায় ১০০ তে ৮০ পায়

>এসএসসি তে তার জিপিএ যদি ৪. ৯০ হয়, সে ৪.৯০ গুন ২০= ৯৮ পাবে

>এইচএসসি তে প্রাপ্ত জিপিএ ৪.৭০ হলে, সে ৪.৭০ গুন ২০ = ৯৪ পাবে

এভাবে মোট তিনশো তে ৮০+ ৯৮+ ৯৪=২৭২ পাবে)

তার মানে বুঝা যাচ্ছে ভর্তিপরীক্ষায় এসএসসি, এইচএসসি এর মার্ক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিপিএ ৫ এর চেয়ে কম হলে নাম্বার কাটা যাচ্ছে।

তো কোনো ছেলে যদি সৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ না পায়, আমি অসৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেলাম।

আবার এই অসৎ রেজাল্ট দিয়ে ভর্তিপরীক্ষায় ও বেশি মার্ক পেয়ে আরেকটা যোগ্যছেলের(যে কি না সৎভাবে দিয়ে জিপিএ ৫ পায় নি,তাই তার নাম্বার কাটা যাবে) তার সিট নষ্ট করলাম।

বান্দার হক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এখানে।এখন কি আমি এই দুইটা সার্টিফিকেট দিয়ে বুয়েটে বা যেকোনো জায়গায় এপ্লাই করতে পারবো? করলে তো বান্দার হক নষ্ট হয়।

(বৈধ হলে যথাযথ দলীল আশা করছি)

<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_220514_153452_778.sdoc-->

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


পরীক্ষায় নকল করা এটি ধোকার শামিল,বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

হাদিস শরীফে এসেছে
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৯৪)

ইবনে মাসউদের (রা.) হাদিসটি যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতারক জাহান্নামে যাবে না।  এবং আবু বকর সিদ্দিক রা. থেকে বর্ণিত ‘অভিশপ্ত সে যে কোনো মুসলমানের ক্ষতি করে বা তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে।’ তিরমিজি বর্ণনা করেছেন। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকামি: ৯/৩৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আগে সেই সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী ও বেতনের মাসয়ালা জেনে নেইঃ 

প্রশ্নে উল্লিখিত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি ছাত্র জীবনে নকল করে পরীক্ষা দেয়,আর সেই সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে চাকরি নেয়, তা হলে সে গুনাহগার হবে। 

ফলে তার জন্য আন্তরিকভাবে তওবা করা আবশ্যক  হবে। তবে ওই ব্যক্তি যদি সেই চাকরির জন্য যোগ্য হন এবং তিনি তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারেন, তা হলে সেই অবস্থায় বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে। কারণ বেতন বা মজুরি কর্মের বিনিময়ে হচ্ছে।

বেতন হালাল হওয়ার সম্পর্ক হলো দায়দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করার সঙ্গে।
আর যদি এমন হয় যে সেই ব্যক্তি ওই দায়িত্ব ও চাকরির যোগ্য না হয় অথবা চাকরির যোগ্য কিন্তু সঠিকভাবে দ্বীনদারির সাথে কাজ করে না, তাহলে তার বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে না।(অর্থাৎ যে পরিমাণ খিয়ানত হবে সে পরিমাণ বেতন হালাল হবে না।)
 
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নকলকারী সেই 
এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে সে গুনাহগার হবে। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বান্দার হকও নষ্ট হবে। 

আরো জানুনঃ 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (565,890 points)
জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউন,করাচী, ওয়েবসাইট ফাতাওয়া নম্বর ১৪৪০১০২০০৩১৯,
দারুল ইফতা, জামিয়াতুর রশিদ, করাচী, ফাতাওয়া নং ৫৭/৬১১৫৯

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...