আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে সমাধান দিবেন নিচের বিষয় গুলোর।সে একজন ওয়াস ওয়াসার রোগী।
১। হুজুর কোন মহিলা যদি মুখে বলে "আমার নিজেকে **** " তাহলে নকি তার উপর তা*** পতিত হয়ে যায়।এই আলোকে আমার প্রশ্ন
. একজন মহিলা যদি মুখে একটা শব্দ বলে ফেলার পর সন্দেহে পরে যায় যে সে আসলে কি বলেছে। সে নিজেকে তা** দেওয়ার মত কিছু বলেছিল কিনা.. তার মনে হয় সে হয়তো "" নিজেকে শব্দটা বলে থাকতে পারে,,,,অথবা তা*** শব্দটা বলে থাকতে পারে।""" তাই সন্দেহে সে মুখে বলে "আমার নিজেকে " এইটুকু বলে সে দেখে যে কথাটা অপরিচিত লাগে বা প্রথমে বলা কথাটা এরকম ছিল না তার প্রবল ধারণা হয়। তারপর সে আবার মুখে বলে ...তা***. এইবারও তার প্রবল হয় তখন সে এই শব্দটা বলেনি।
এরপর সে আবার চিন্তায় পরে যায়,কারন সে সন্দেহ দূর করার জন্য যে প্রথমে মুখে বললো তার নিজেকে তারপর আবার বললো তা****... এই দুইটা শব্দ একসাথে বলার তার উদ্দেশ্য ছিল না,,বা সে খেয়াল করেনি শব্দ দুইটা কাছাকাছি বলা হয়ে যাচ্ছে। তাও ২ টা শব্দ পর পর বলার কারনে কি তার উপর *** পতিত হয়ে যাবে??তার তো নিজেকে *** দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না বা খেয়াল ছিল না।
২। কোন মহিলা যদি মুখে বলে ",,আমার নিজেকে এইটুকু বলার পর যদি সে মুখ বন্ধ রেখে জিহবা নাড়িয়ে বলে (তা*****)
এইখানে তা*** শব্দটা ঠোঁট বন্ধ করে বলা হয়েছিল। শুধু মুখের ভিতর জিহবা নড়েছে,, এতেই ওই মহিলার মনে হয়েছে শব্দটা স্পষ্ট। অর্থাত মুখ বন্ধ থাকলেও জিহবা নড়ার ফলে সে ওই জিহবা নাড়ানোর মধ্যে তা** শব্দটা বলেছে। এতে কি কোন সমস্যা হবে?? নাকি মুখ নাড়িয়ে শব্দ করে বলতে হবে??
৩।
হুজুর একজন ওয়াসওয়াসার রোগী যদি, কিছুক্ষন আগে তা*** উচ্চারণ করে,,,, তারপর তার খেয়াল থাকে না সে তা*** বলেছিল। সে আবার বলে "আমার নিজের উপর " এইটুকু বলার পর তার যদি তার খেয়াল হয় সে প্রথমে তা** বলেছিল। তাহলে কি সমস্যা হবে? তার তো ইচ্ছা ছিল না প্রথমে বলা তা** শব্দ টার সাথে "আমার নিজের উপর" এইটুকু বলা।
আমার নিজের উপর,,,এইটুকু কথা বলার মাঝেই অর্থাত কথাটা শেষ করার আগেই তার খেয়াল হয় তা** বলার কথাটা আর ভয় হয়। ভয় হবার পরেও সে কথাটা বলে শেষ করে। এতে কি তার উপর *** পতিত হবে??
৪। ৩ নাম্বার প্রশ্নে "আমার নিজের উপর "" এই কথাটা বলার সময় যে অই মহিলার মনে হয়ে গেল যে আগে সে তা*** বলেছে। এখন সে ওয়াসওয়াসায় আছে,,, "আমার নিজের উপর "" কথাটা বলার সময় আগে বলা তা*** এর কথা মনে হবার কারণে তার উপর পতিত হবে কিনা?? বা তার উদ্দেশ্য চলে এসেছিল কিনা সেটা নিয়ে সে সন্দেহ করছে।
৫। হুজুর, ৩ নাম্বার প্রশ্নের বিষয় টি নিয়ে মহিলা প্রচন্ড ওয়াসওয়াসায় আছে। সে আসলে "আমার নিজেকে" এইটুকু বলার সময় ওয়াসওয়াসায় পরে যে এর আগে সে তা*** বলেছে কিনা। কিন্তু এটি তার সন্দেহ সম্পূর্ণ। কারন তার তখন প্রবল ধারণা হচ্ছিল সে তা*** মনে মনে বলতে পারে,,,মুখে বলেনি। মুখে বলার বিষয় টি তার সন্দেহ ছিল৷ এই সন্দেহ টা নিয়ে ভাবতে ভাবতে এটি তার বিশ্বাসে পরিনত হচ্ছে যে আসলেই সে বলেছিল কিনা। তার বলার বা কানে আসা স্মৃতি মনে নেই। এইটা সে সন্দেহ করেছে। এখন সন্দেহ থাকার কারণে সে যদি ধরে নেয় সে তা** শব্দটা বলেনি। তাহলে কি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন???