আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
290 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (82 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

ঈলা চলা কালীন সময়ে স্বামী নিয়ত ছাড়াও  মানে তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়ে যায়?জানার  জন্য প্রশ্নটা করলাম।মানে স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকে।এখনো নামিয়ে নেই নি।শপথ করলেও ওদের মধ্যে সম্পপর্ক ভাল।মাঝে মধ্যে মনমালিন্যে হয়,আর কি।তহ ঈলা চলাকালীন সময়ে তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়?বলতে গেলে তখন তারা ঈলা কি সেটাই জানত না।পরে জানতে পারছে।কিন্তুু স্বামীর ছেড়ে দেওয়ার মন ছিল না। এমনিতে অভিমান করে শপথ করলেও পরে কয়েকমিনিট পর আবার ভালভাবে কথা হত ফোনে।যখন সময় পায় চলে আসে স্বামী।আর কেনায়া তালাক নিয়েও জানত না, জানার পর স্বামী বলেছে যে স্বামী তালাকের নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি।মানে মেসেজে কথা হয় তহ স্ত্রী তালাক চায়লেও স্বামী দেয়,নি।আর পর পর কেনায়া বাক্য বলেছে কিনাও  মনে নেই কারো।তহ আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া শব্দ না বলে আরো কিছু কথা হওয়ার পর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললেও তালাক হয় না

১।আমার প্রশ্ন ঈলা চলাকালীন সময়ে  এভাবে  মেসেজে পর পর না বলে কিছু সময় পর মানে কিছু সময় আরো ঝগড়া বা আরো কথা হওয়ার পর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে?

২।মেসেজে  তালাক চাওয়ার পর পর না বলে কিছু সময় পর মানে কিছু সময় আরো ঝগড়া বা আরো কথা হওয়ার পর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে? মানে স্বামী তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি বললে?

৩।কিছু  কেনায়া বাক্য স্বামী মাঝে মাঝে বলে।আমি বারবার প্রশ্ন করি কোন নিয়তে বলেছে।ওনি কিছু বলে না মাঝে মাঝে গালি দেয়।আসলে মেসেজে কথা হয়।আর বলেছিল তুকে বিয়ে করছি যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য না।বারবার একই প্রশ্ন করে বিরক্ত করে ফেলস কেন? কিন্তুু তারপর  মেসেজে আবার বলে "৫ মিনিট টাইম নাই তুর থেকে আমার জন্য, তহ তুকে কি জন্য লাগতেছে যে আমার? তারপর একটু পর  নাকি পর পর বলতেছে কিছুদিন দূরে থাক বা এভাবে থাক কথা বলিস না। পরপর নাকি একটু পর বলেছে টিক মনে নেই কিন্তুু কথাটা বলেছিল , বলেছিল যে কিছুদিন দূরে থাক কথা বলিস না আবার বলে তখন কি করব?  পরে আবার বললে কি করব?  ওনি তহ রেগে যায়।আমার অনেক ভয় লাগে কোন গুণাহ হবে কিনা ভেবে। কান্না করি আল্লাহ কোন আমাকে যেনার শাস্তি দিবে কিনা।ভবিষ্যৎ এ বললে কি করব? ওনি উত্তর ও  দেয় না আমি জিগ্যেস করলে গালিগালাজ করে।মানে এর একটু আগেই বলেছে তালাক দেওয়ার জন্য বিয়ে করে নি।এরপর আবার উপরে উল্ল্যেখিত কথাগুলো বলেছে।আর জিগ্যেস করতে পারতেছি না ভয়ে।কারন এর একটু আগেই অন্য কথা নিয়ে জিগ্যেস করায় ওনি বিরক্ত ।উপরে উল্লেখিত কথাগুলো দ্বারা কি তালাক হবে?আর আমার কি গুণাহ হবে কোন  কারনে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}


★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
ঈলা চলাকালীন সময়ে  এভাবে  মেসেজে পর পর না বলে কিছু সময় পর মানে কিছু সময় আরো ঝগড়া বা আরো কথা হওয়ার পর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে তালাক হবেনা।

★কেনায়া বাক্য নিয়ত ছাড়া বললে (তালাকের মজলিস না হলে) তালাক হয়না।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।   

(০২)
যেহেতু স্বামী এখানে স্ত্রীর সরাসরি তালাক চাওয়ার সাথে সাথেই কেনায়া বাক্য বলেনি,বরং মাঝে বিরতি ছিলো,ঝগড়াঝাটিও চলছিলো,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০৩)
উপরে উল্লেখিত কথাগুলো দ্বারা  তালাক হবেনা।

আর আপনার গুণাহ হবেনা কোনো কারনে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...