ওয়া আলাইকুম আসসালাম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
ফুকাহায়ে কেরামগণের স্থর সর্বমোট পাঁচ প্রকার।এর মধ্যে সচরাচর যে মুজতাহিদ উল্লেখ করা হয়,তা দ্বারা আমরা মুজতাহিদ ফিল মাযহাব বুঝে থাকি।
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব বলা হয়, যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
4125
সুতরাং ডক্টরেট/পিএইচডি মুজতাহিদ হওয়ার মানদন্ড নয়।বরং যে কেউ উপরোক্ত পাঁচ প্রকার জ্ঞানের ধারক-বাহক হবেন,তিনিই মুজতাহিদ ফিল মাযহাব হিসেবে পরিগণিত হবেন।
(২)
আব্দুল্লাহ বিন আযযাম একজন মহান ব্যক্তিত্বর নাম।তিনি একজন নিষ্টাবান দাঈ ছিলেন।উনার মতাদর্শ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতেরই ছিল।কিন্ত ফিকহ বিষয়ে উনার তেমন কোনো বিশেষ রচনা আমাদের জানা নেই।তাই কোনো ফকিহ উনাকে মুজতাহিদ ফিল মাযহাব বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। উনি জ্ঞান বুদ্ধিতে খুবই পারদর্শী ছিলেন।যদি ফিকহে বিশেষ ভাবে জড়িত থাকতেন,তাহলে অবশ্যই উনাকে ফুকাহাগণ মুজতাহিদ বলতেন।উনাকে মুজতাহিদ না বললে যে উনার পাণ্ডিত্যে কম হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়।বরং বিষয় হল,উপরে উল্লেখিত পাঁচ প্রকারের জ্ঞানের অধীকারী হয়ে যদি কেউ ইলমে ফিকহের সাথে জড়িত থাকে,তবেই তাকে মুজতাহিদ ফিল মাযহাব বলা হবে।