বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/641 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
গীবত করলে বান্দার হক্ব নষ্ট হয়।আর কেউ বান্দার হক্ব নষ্ট করলে আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না উক্ত বান্দা ক্ষমা করে দিচ্ছে।
কিন্তু যদি হক্ব নষ্ট কারী ঐ বান্দা পরবর্তীতে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে ফেলে।এবং আল্লাহর দয়া হয়ে যায়।তাহলে আল্লাহ তা'আলা সে বান্দা কে খুশী করে দিবেন যার হক্ব দুনিয়াতে নষ্ট হয়েছিলো।
এবং আল্লাহ তা'আলা উক্ত বান্দাকে সেই হক্ব নষ্টের গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।তখন আর সেই বান্দা আল্লাহ কাছে বিচার দায়ের করবে না।
এখন কথা হলো খালিছ নিয়তে বিশুদ্ধ তাওবাহ করার পদ্ধতি বা সূরত কি?
তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হলো,আল্লাহর হক্ব সম্ভলিত বিষয় হলে আল্লাহর নিকট অনুনয় বিনয় করে আহাজারি করা, মিনতি করা।
আর বান্দার হক্ব হলে, সেই হক্ব কে আদায় করে দেয়া বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।সেজন্য এর পিছনে সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করা।যদি নিজ সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও উক্ত বান্দার হক্বকে আদায় করা সম্ভব না হয়,বা ক্ষমা না পাওয়া যায়,তাবে আল্লাহর নিকট নিজ সেই চেষ্টার কথা তুলে ধরে সমাধান চাওয়া।এবং ভবিষ্যতে কোনো বান্দার হক্ব নষ্ট না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে অবশ্যই আল্লাহ তাওবাহকে কবুল করে নেবেন এবং উক্ত গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।
গীবতের মাধ্যমে কারো হক্ব নষ্ট করলে এভাবেও তার নিকটে গিয়ে ক্ষমা চাইতে পারেন যে,শরয়ী দিবস যেমন ঈদ, আশুরা,ইত্যাদিতে তার নিকট গিয়ে বলা।
ভাই/বোন!
আমরা এক সাথে চলাফেরা করেছি।ইসলাম সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান না থাকায় আমাদের চলাফেরায় একজন অন্যজনের কত হক্বই না নষ্ট করেছি।আপনি না করলেও আমি অবশ্যই করেছি।দয়া করে আজকের এই পবিত্র দিনে আমাকে যাবতীয় হক্ব নষ্ট করার গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিন।এভাবে ক্ষমা করিয়ে নিবেন।হ্যা ভবিষ্যতে আর এরকম কাজ কখনো করবেন না।তবেই আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ক্ষমা চেয়ে নিবেন। ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে তখন আপনি সদকাহও করতে পারবেন।