আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
1. ইসলাম কি কোনো আবেগ-অনুভূতি স্বীকৃতি দেয় না?

2. স্বামী স্ত্রীর  মধ্য ভালোবাসা বিদ্যমান থাকে ।  প্রত্যেকটা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তো শুধু শারীরিক ও আর্থিক সম্পর্ক না।  পৃথিবীর কোন মানুষই  ছেলে  কিংবা মেয়ে  কেউই  তার পছন্দের মানুষটির সাথে  অন্য কোন মানুষের যোগাযোগ বা সংস্পর্শ সহ্য করবে না । অন্যদিকে ইসলামে  একটা ছেলের  একসাথে চারটি বউ  রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে ।  স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কি শুধু শারীরিক  কিংবা আর্থিক  সম্পর্ক ?   এখানে কি ভালোবাসা মিল মহব্বত নাই ।তাছাড়া এটা সবাই জানে কোন নারী চায়না তার পছন্দের মানুষটির সাথে অন্য কেউ থাকুক? এটা কত বড় পানিশমেন্ট হবে তার জন্য ।

3. এখন প্রশ্ন হলো , কোরআনের কোন কিছুই অযুক্তিক কিংবা পক্ষপাতিত্ব নয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা ছেলেদের পক্ষপাতিত্ব করেছেন । নাউজুবিল্লাহ । এমনটি চিন্তা করাও পাপ। মহান আল্লাহ ন্যায় বিচারক । এখন আমি জানতে চাচ্ছি , মহান আল্লাহ এই বিধান দিয়েছেন  এর উদ্দেশ্য কি? এর মাধ্যমে তিনি  নারী জাতিকে  কি শিক্ষা দিতে চেয়েছেন?? এর মানে কি এটা  যে   আল্লাহ ছাড়া  কাউকে বেশি ভালোবাসা ঠিক নয় । কারণ নারীরা অনেক বেশি ইমোশনাল । এবং  তারা পিতা-মাতার চেয়েও  স্বামী কে বেশি ভালোবাসে।

  আশা করি উত্তর দিবেন ?? সরাসরি হাদীস বা কুরআনের আয়াত  বুঝতে অসুবিধা হয় । আমরা সাধারন মানুষ । অনুগ্রহ করে  বুঝিয়ে বলবেন ?

4. এখন আসি আমার কথা , আমি অবিবাহিত ।  আমার বয়স19/20 ।  আমি কোনভাবেই  মেনে নিতে পারবোনা আমার স্বামীর  সাথে  অন্য কোন নারীকে ?  হ্যাঁ এটা ঠিক  আমি কখনো তাকে  দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে  বাধা দেয়া তো দূরের কথা  কোন কথাও বলব না  এ নিয়ে ।  কারণ মহান আল্লাহ তাআলা তাকে অনুমতি দিয়েছেন।  আমি হয়তো মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব। এইভেবে যে  মহান আল্লাহ তায়ালা  দেখতে চেয়েছেন  আমি কতটা ধৈর্যশীল ।
5.  কিন্তুু   আসলে সত্য যেটা  সবকিছুরই ক্রিয়া থাকলে প্রতিক্রিয়া থাকেই । আমিতো প্রোগ্রাম করে দেয়া  রোবট না । আমি মানুষ । আমার পরিবর্তন হবেই।  আর তাই অবশ্যই আমার স্বামীর প্রতি আমার ঘৃণা সৃষ্টি হবে।  তাকে কষ্ট দিব না   এই বিষয় নিয়ে কোন কথাই বলব না । কিন্তুু  তার প্রতি মায়া মহব্বত একদম থাকবেনা। কারণ আমি  অনেক কষ্ট পাবো । প্রত্যেকটা মানুষই  কি ছেলে কি মেয়ে  নিশ্চয়ই  এরকম   যে  যে বিষয়   দাঁড়া আমরা কষ্ট পায়  সেই বিষয়টাকে  আমরা এড়িয়ে চলি ।  তাই আমি এই সম্পর্ক থেকে মুক্তি চাইবো । কারণ তার সাথে আমার সম্পর্ক শারেরিক কিংবা  আর্থিক না ।  আমি তাকে  শুধু এর জন্য বিয়ে করিনি  বা করবো না   যে  সে আমার জন্য ব্যায়  করবে।  আমি  একটা  জীবনসঙ্গী  চেয়েছিলাম  যে আমার পাশে থাকবে  বিপদে আপদে।আমি  আমি তার কাছে ডিভোর্স চাইবো ?  অথবা  আইনের মাধ্যমে ডিভোর্স দিব ।  এতে কি আমার গুনাহ হবে ??

6.  এর কারণ হচ্ছে , আমি অনেক ভেঙে যাব । ঐ সম্পর্কে থাকা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। আমি কোন ভাবেই তাকে মেনে নিতে পারব না।    আমার আচরণে  তো  পরিবর্তন আসবে   অবশ্যই । তাকে  অবশ্যই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব । কারণ আমি মানুষ রোবট না।  হয়তো কখনো  আমার  আচরণে সে কষ্ট পাবে ।তাই আমি চাইব  তার কাছ থেকে দূরে সরে যায়তে । না হলে এই  কষ্টটা  আমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা  ও  আমারে ইবাদতে  ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে ।  এখন ডিভোর্স দেয়ার কারনে আমার কি পাপ হবে ??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, অবশ্যই ইসলামে সার্বজনীন ফায়দার সমর্থন রয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক আবেগ-অনুভূতির স্বীকৃতি একটি সীমা পর্যন্ত রয়েছে।

(২)
পৃথিবীতে হরহামেশা নারীদের সংখ্যা দিগুন তিনগুণ হয়ে আসছে।তাছাড়া দুর্যোগ দুর্ঘটনা এবং যুদ্ধবিগ্রহ পরুষদের মধ্যে বেশী ঘটে,এবং এজন্য সময়ে সময়ে অনেক পুরুষের ঘাটতি চলে আসে। সুতরাং একজন নারী যদি একজন পুরুষকে আগলে রাখে তাহলে অন্যন্য নারীদের কি হবে।এইজন পুরুষদের বহু বিবাহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।অবশ্যই এক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য হবে।


(৩)
সমস্ত মানুষ তথা মানবজাতির বৃহৎ ফায়দার লক্ষ্যেই আল্লাহ উক্ত বিধান আরোপ করেছেন।


(৪)
আলহামদুলিল্লাহ। জ্বী, আপনি যা বলছেন, সেটাই।

(৫)
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কারণে আপনি তাকে ডিভোর্স দিতে পারবেন না।দিলে আপনার গোনাহ হবে।

(৬)
এভাবে ডিভোর্স দেয়ার কারণে অবশ্যই আপনার গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...