ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/987 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দু'আ করা পৃথক একটি ইবাদত।
এমনকি দু'আ কে সমস্ত ইবাদতের মগজ হিসেবে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।
যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে-
হযরত নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত,
عن النعمان بن بشير قال: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - " «الدعاء هو العبادة " ثم قرأ: {وقال ربكم ادعوني أستجب لكم} [غافر: ٦٠] » ) رواه أحمد والترمذي، وأبو داود، والنسائي، وابن ماجه
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
দু'আ পৃথক একটি ইবাদত।অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন,
' এবং তোমাদের রব বলেন, আমাকে ডাকো,আমি তোমাদের ডাকের জবাব দেবো'। (সূরা গাফির-৬০)
মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৩০।
এবং হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
وعن أنس، قال: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - " «الدعاء مخ العبادة» " (رواه الترمذي)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, দু'আ সমস্ত ইবাদতের মগজ।মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৩১
দু'আ কবুল হয়নি মনে করে দু'আকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।বরং ধারাবাহিক লাগাতার দু'আ করতে হবে, তবেই কবুলের সম্ভাবনা থাকবে। যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «لا يزال يستجاب للعبد، ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم، ما لم يستعجل» قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: يقول: «قد دعوت وقد دعوت، فلم أر يستجيب لي، فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক বান্দার দু'আ ইস্তে'যাল না করার শর্তে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়ে থাকে,যতক্ষণ না সে কোনো গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক-কে বিচ্ছিন্ন করার দু'আ করে থাকে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি জিজ্ঞাসা করলেন।ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইস্তে'যাল অর্থ কি?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ইস্তে'যাল অর্থ হল, বান্দা কর্তৃক এমন কথা উচ্ছারিত হওয়া বা বলা যে, আমি তো দু'আ করতেই থাকলাম,করতেই থাকলাম, অথচ আমার দু'আ কবুল হয়েছে,তা তো কখনো দেখিনি। সুতরাং তখনই সে আফসোস করতে থাকে এবং দু'আ কে ছেড়ে দেয়।(ফালাফল হিসেবে তার দু'আ আর কবুল হয় না)(সহীহ মুসলিম-২৭৩৫,মিশকাতুল মাসাবিহ২২২৭)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
দু'আ কবুলের নির্দিষ্ট কোনো সময় বা আমল নেই। বরং সেটা আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। হ্যা, কিছু সময় এমন রয়েছে, যখন আশা করা যায় যে, হয়তো দু'আ কবুল হতে পারে।যেমন, সফরের হালতে দু'আ, শেষ রাতের দু'আ, ইফতারের মূহুর্তে দু'আ, মেঘের সময়ে দু'আ, ফরয নামাযের পর দু'আ, শুক্রুবারে দু'আ। যে যত বেশী নফল ইবাদতে ব্যস্ত থাতবে,তার দু'আ তত বেশী কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
(২)
এটা নিশ্চিত নয়।
(৩)
জ্বী, যাবে।