আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
edited by
اسلم عليكم ورحمة الله وبركاته
.
1. আমি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নবম শ্রেণিতে থাকার সময় আমি একটু একটু দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা শুরু করি। এখনও করে যাচ্ছি। কিন্তু আমার আগে যেরূপ ইমান ছিলো এখন কোনেভাবেই সেরকম অনুভব করি না। আমার অন্তর অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। আমি অনেকক্ষণ সেজদায় থাকার চেষ্টা করি। থাকতে পারলেও অন্তরে নম্রতা অনুভব করি না। আমি আমার ইমান নিয়ে খুবই চিন্তিত। যেমন আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ার ফজরের নামাজ জামাতে পড়তে পারি নি। আগে এমন হলে অনেক খারাপ লাগত অথচ আজকে ব্যতিক্রম কোনো অনুভূতি আসেনি। আমি বুঝতে পারছি না কী করব। আমার যে যে গুনাহ সম্পর্কে জ্ঞান ছিলো সে বিষয়গুলো সাধ্যমতো ত্যাগ করার চেষ্টা করছি। এরপরেও৷ আমি আল্লাহর নিকট কান্না করার সময়ও অন্তরে নম্রতা বা বিশেষ কোনো কিছু টের পাই না। আমাকে দয়া করে বিস্তারিত কিছু পরামর্শ দিন।

2. কালকে থেকে আমাদের স্কুল খুলবে। সেখানে এসেম্বলির মধ্যে পতাকাকে স্যালুট ও জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হয়। এখন আমি যদি এসেম্বলি থেকে বাঁচার জন্য বলি আমার পায়ে সমস্যা তথা পা ফুলে যায় এবং রগে টান টান করে। যা সত্য। অর্থাৎ আমার পা ফুলে গেছে এবং হাটাহাটি করলে রগে টান টান করে। তবে বিষয়টা এতটা চরম পর্যায়ে নেই যে আমি এসেম্বলি করতে পারব না। এখন আমি যদি এটা বলে এসেম্বলি তে না যায় তাহলে কী মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।
.
جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
★আমরা আপনাকে বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করার ও শোনার পরামর্শ দিচ্ছি। 

 আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا

আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। (সূরা আনফাল ২)

★অনুরূপভাবে আমরা আপনাকে বুঝে বুঝে নবীদের কাহিনী, সাহাবায়ে কেরামের জীবনী পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। কেননা, নবী ﷺ ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের অন্তরকে প্রশান্ত করার জন্য আল্লাহ তাআলা কোরআনে নবীদের কাহিনীগুলো উল্লেখ করেছেন। 

আর তিনি সাহাবায়ে কেরামের ঈমানকে আমাদের ঈমানের জন্য আদর্শ বানিয়েছেন। 

★অধিকহারে আল্লাহর যিকির করুন। কেননা, দুর্বল ঈমানের সুস্থতার জন্য যিকির খুবই উপকারী। আল্লাহর যিকির অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করে। মুমিনের অন্তর যিকিরের মাধ্যমে প্রশান্ত হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। (সূরা রা’দ ২৮)

★সর্বোপরি আপনাকে বিভিন্ন রকমের নেক আমল করা এবং গুনাহ বর্জনের পরামর্শ দিচ্ছি। কেননা, যেকোনো নেক আমল ঈমানকে বৃদ্ধি করে। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে মিথ্যা বলার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...