আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قوله تعالي ملة ابيكم ابراهيم .هو سمكم المسلمين.من قبل وفي هذا ليكون الرسول شهيدا عليكم وتكونوا شهداء علي الناس .فاقيموا الصلاة واتوا الزكاة واعتصموا بالله
এটাই তোমাদের পিতা ইবরাহীমের ধর্ম। আল্লাহ তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বেও, আর এ কিতাবেও ‘ঐ নামই দেয়া হয়েছে’ যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা সাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। অর্থাৎ উল্লিখিত নির্দেশাবলী তোমাদের জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অন্তর্ভুক্ত, যা সর্বদা বহাল ছিল।
সুতরাং তোমরা তাঁর মিল্লাত তথা ধর্মকে আঁকড়ে ধরে থাক। ( সুরা হাজ্জ-৭৮)
.
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قل إنني هدني ربي الي صراط مستقيم. دينا قيما ملة ابراهيم حنيفا وما كان من المشركين
বল! নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক আমাকে সৎ পথে পরিচালিত করেছেন, তা সুপ্রতিষ্ঠিত দীন, ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ, তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। (সূরা আনআমঃ ১৬১)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন বলেন যে ইবরাহীম আঃ ব্যাতিত অন্য কাহারো সম্মানে উক্ত শব্দের ব্যবহার শরীয়ত অনুমোদিত নয়।
এটি জায়েজ নয়।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে এটাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বলা হয়না, একটি গোত্র বা দেশ গঠনের পেছনে ব্যাক্তিটির অগ্রণী ভূমিকা থাকায় সে গোত্র বা দেশ এর দিকে ইঙ্গিত করে এটি বলা হয়।
তারা বলেন যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে জাতির পিতা একেক ধর্মের একেকজন।
আবার একটি গোত্র বা দেশ গঠনের পেছনে যে ব্যাক্তিটির অগ্রণী ভূমিকা থাকে তাকে সে দেশের বা সেই জাতির পিতা হিসেবে মানা হয়।
ইংরেজিতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জাতির পিতাকে Father of the Religion এবং দেশ গঠনের ক্ষেত্রে জাতির পিতাকে Founder of the Nation হিসেবে দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে তাঁর অনেক বড় অবদান ছিল- এটা একটি অনস্বীকার্য বিষয়। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই উপাধি দেয়া হয়েছে।