আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) আমার আম্মু পর্দা করে জানে বুঝে বাট মাহরাম মেনে চলি সেটায় মাঝে মাঝে চেতে যায়। যেমনঃ একটা মহিলা ঘটক আসছিল আমি তাকে বলেছিলাম ছেলের বাবা দেখতে পারবে না।বিয়ে হলে সে মাহরাম  হবে। এখন উনি মাঝখান থেকে বলে যে এত মাহরাম মুহরাম মানন লাগব না।বিয়ের পর মানিস।

আমার তার কথায় ভয় হচ্ছে এতে কি তার ঈমানের ক্ষতি হবে?

২) "In the name of people"এই বাক্যটি যদি মানুষের হেল্প করার অর্থে হয় তাহলে কি শির্ক হবে? বা এই পুরো বাক্যতে কি শির্ক আছে?

৩)পা ধরে মাফ চাইলে কি শির্ক হবে?নিজের পিতা মাতা ইত্যাদি বড়দের কাছে পা ধরে মাফ চাইলে শির্ক হবে কি?

৪)আর একটা প্রশ্ন যে আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)।আর জাতির পিতা ইব্রাহিম আঃ।এখন বাংলাদেশে বংগবন্ধুকে জাতির পিতা/ জাতির জনক ইত্যাদি বলা হয়। এতে কি রকম গুনাহ হচ্ছে? শির্ক হচ্ছে কি এতে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তিনি যেহেতু পর্দা নিয়ে কোনো ঠাট্রা বিদ্রুপ,উপহাস করেননি,তাই তার ঈমান চলে যায়নি।
তবে তাকে এহেন মারাত্মক কথা বলার কারনে তওবা করতে হবে।

(০২)
এতে শিরক দেখছিনা।

(০৩)
এতে শিরক হবেনা

(০৪)
ইবরাহীম (আঃ) মুসলিম উম্মাহর সকলের জাতীর পিতা।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

قوله تعالي  ملة ابيكم ابراهيم .هو سمكم المسلمين.من قبل وفي هذا ليكون الرسول شهيدا عليكم وتكونوا  شهداء علي الناس .فاقيموا الصلاة  واتوا الزكاة  واعتصموا  بالله 

এটাই তোমাদের পিতা ইবরাহীমের ধর্ম। আল্লাহ তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বেও, আর এ কিতাবেও ‘ঐ নামই দেয়া হয়েছে’ যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা সাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। অর্থাৎ উল্লিখিত নির্দেশাবলী তোমাদের জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অন্তর্ভুক্ত, যা সর্বদা বহাল ছিল।
সুতরাং তোমরা তাঁর মিল্লাত তথা ধর্মকে আঁকড়ে ধরে থাক।  ( সুরা হাজ্জ-৭৮)
.
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

قل إنني هدني ربي الي صراط مستقيم. دينا  قيما ملة ابراهيم حنيفا  وما كان من المشركين 

বল! নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক আমাকে সৎ পথে পরিচালিত করেছেন, তা সুপ্রতিষ্ঠিত দীন, ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ, তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। (সূরা আনআমঃ ১৬১) 

,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন বলেন যে ইবরাহীম আঃ ব্যাতিত অন্য কাহারো সম্মানে উক্ত শব্দের ব্যবহার শরীয়ত অনুমোদিত নয়।    
এটি জায়েজ নয়।

তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে এটাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বলা হয়না, একটি গোত্র বা দেশ গঠনের পেছনে ব্যাক্তিটির অগ্রণী ভূমিকা থাকায় সে গোত্র বা দেশ এর দিকে ইঙ্গিত করে এটি বলা হয়।

তারা বলেন যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে জাতির পিতা একেক ধর্মের একেকজন। 

আবার একটি গোত্র বা দেশ গঠনের পেছনে যে ব্যাক্তিটির অগ্রণী ভূমিকা থাকে তাকে সে দেশের বা সেই জাতির পিতা হিসেবে মানা হয়।

ইংরেজিতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জাতির পিতাকে Father of the Religion এবং দেশ গঠনের ক্ষেত্রে জাতির পিতাকে Founder of the Nation হিসেবে দেখানো হয়। 

বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে তাঁর অনেক বড় অবদান ছিল- এটা একটি অনস্বীকার্য বিষয়। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই উপাধি দেয়া হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...