আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
245 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর প্রশ্ন ইডিট এর অপশন ত আমি খুজে পাইনা।

হুজুর আব্বু ব্যবসা কে হালাল ই মনে করেন।আম্মু আব্বু উভয়েই।কিন্তু আমি জানি যে ডিসের ব্যবসা হারাম।এখন তারা এইটাকে হালকা ভাবে নেয় যে এই ব্যবসা গুনাহ হয় করলে।(এইটার জন্য নাকি আব্বু মাফ ও চায়) এই ব্যবসা অনুচিত বলে। সে ওয়াইফাইএর ব্যবসা শুরু করে নি।আম্মু একবার বল্লযে আব্বু নাকি বলসে যে একটা নিয়া পারি না আবার ওয়াইফাই এর ব্যবসা অইটায় ত আরও গুনাহ।মানে ব্যবসাকে তারা পুরোপুরি হারাম ভাবে না।বলে যে এতে ত খবর বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্টান ও হয় ইত্যাদি এইগুলা বলে।

এখন আমার প্রশ্ন যে তারা এই হারাম ব্যবসাকে জায়েজ মনে করলে বা হালাল ভাবলে কি করনীয়? আব্বুর অন্য কোন ওয়ে নেই।গাড়ির ব্যবসা আছে কিন্তু আগের মত সেই হালাল ব্যবসায় বারাকাহ নেই আলহামদুলিল্লাহ। আর আমাদের রানিং পরিবার বড় পরিবার সবাই পড়াশোনা করে।সবাই মেয়ে আর ভাই ছোট। আর তাদের দ্বীনের জ্ঞান কম তারা এই ব্যবসাকে পুরোপুরি হারাম ভাবে না।মনে করে যে এইটা ব্যবসা আমি তো আমার পরিশ্রম খাটাইছি ইত্যাদি। কারর টা মেরে খাচ্ছিনা ইত্যাদি বলে।

২)হুজুর কাফির মুরতাদ এর পার্থক্য কি?

৩) আমার আম্মু কিছুদিন আগে আমার উপর চেতে গিয়ে বলে যে তুই পর্দা ছাড় আমি সেদিন ঘরে ঝগড়া করসিলাম।বলে তুই পর্দা ছাড় আগে।এই ক্ষেত্রে তার গুনাহ কি হয়েছে? সে নিজেও পর্দার গুরুত্ব বুঝে স্বীকার করে এবং পর্দা ও করে তবে অইভাবে না।যতটা সম্ভব চেষ্টা করে।কেও আসলে মুখ ঢেকে যায়।

আবার চাদ রাতে আমি মেহেদি দিব বলে যে ভাবির কাছে গিয়ে দে, আমার চাচাত ভাইয়ের বউ।পরে আমি বলি যে না আমি যাব না যখন তখন ভাইয়া আইসা পরবে।বলে কি হইসে মুখটা খুললে হ্যা। এর দ্বারা তার ঈমানের কোন ক্ষতি হবে কি?

৩) কুরআনে চার বিবাহ এর কথা আছে।কেও এইটা স্বিকার করে মানে। কিন্তু একবার বাংলাদেশে এই ব্যপারে নিয়ে বহুত ইস্যু  হইসে।আমার আম্মু এই বিধান স্বীকার করে কিন্তু এই ব্যাপারে কিছু বললে কেমন জানি করে মানে সে জানে মানে কিন্তু সে বলে যে কেও কি তার স্বামির ভাগ দিব হ্যান্তান ইত্যাদি বলে,বা কেও এই রকম বিয়ে করলে সে অত পছন্দ করে না মানে অই লোককে।এই পুরো বিষয় অপছন্দ করে কিনা আমি জানি না।এতে কি তার ঈমানের ক্ষতি হবে না জেনে বুঝে  কিছু করলে?

তো একবার এই বিবাহ নিয়ে অনলাইনে প্রচুর সমালোচনা হয় আমি তাকে বুঝাইসি যে, যার সক্ষমতা আছে সে করবে।তবে কারো হকের যেন ক্ষতি না হয় এইদিক লক্ষ্য রেখে বিয়ে করতে হয় আমি আমার জ্ঞান অনুযায়ী তাকে বুঝাইসিলাম।সে বিধান অস্বীকার করে না তবে কেও এমন করলে হয়ত সে পছন্দ করে না। এতে কি তার ঈমান আমাল এর ক্ষতি হইসে?

৪) আমার আব্বা আম্মার ঈমান নিয়ে খালি সন্দেহ হয় তারা এমন কিছু বলল কিনা করল কি না, এতে কাফির বা মুরতাদ হল কিনা। আমি সারাক্ষন অস্থিরতায় ভুগি এতে আমার করনীয় কি?

 ৫)তারা না জেনে বুঝে কিছু বলে ফেললে বা করলে কি কাফির বা মুরতাদ হবে?

৬)আমি সাধারণত চুপচাপ থাকি অনেকের অনেক কিছুই সহ্য করি মানে ঘরে ভাইবোনদের।তো একদিন হয় কি একটু বিস্তারিত বলি,আমি সকাল থেকে কাজ গুছাইলাম ঘরের আর আমার মেঝ বোন বসে ছিল অ চাইলে তখন গোসল সেরে নিত পারত করে নাই আমি যেই কাজ ঘুছায়া যাব অমনি এ ডুকসে গোসল এ আর অই সময়টায় আমার নামাজ যোহরের দেরি হত অইটা নিয়ে অস্থিরতায় ভুগছিলাম তো অইদিন ও দেরি হবে ভেবে সেদিন আমি চিল্লাচিল্লি করি আর আমার মেঝ বোনের সাথে হাতাহাতি ও হয় মার দেই আমি।পরে অইদিন আব্বু আম্মু উভয়েই আমাকে বকে।আমাদের আর একটা গোসল খানা আছে ও চাইলে অইদিকেও যাইতে পারত যাই নাই আর আমি মুলত এইটাতেও সব সময় কাজ করি।তাই নিজে রাগ কন্ট্রোল করতে পারি নাই অনেকদিনের টা একসাথে বের হইসে।
এই জন্য সেদিন থেকে আম্মু আমারে বলে যে নামাজ পরবি না তুই।এই রকম দুইদিন বলে করে নামাজ পরতে দেখলেই বলত আবার এমনিই বলত। তো আব্বু আম্মুকে ধমকায় এই এইগুলা বলে না।আমারে আর আমার মেজ বোনো দুইজনকেই বলে এ নামাজ পরবি না।

সে নিজেও পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে। কিন্তু অইদিন সে আমাদের আচরনেই এইটা বলে এই ক্ষেত্রে কি তার ঈমানের ক্ষতি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ডিসের তুলনায় ওয়াইফাই ব্যবসা তুলনামূলক ভালো।এমনকি ডিসের ব্যবসা স্পষ্টত হারাম।তবে ওয়াইফাই দ্বারা যেহেতু হালাম হারাম উভয় কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে, সুতরাং ওয়াইফাই ব্যবসার রুখসত থাকবে।ওয়াইফাইকে হারাম পথে যিনি ব্যবহার করবেন, গোনাহ উনারই হবে।

(২)
কাফির যে প্রথম থেকেই অমুসলিম।মুরতাদ হল,যে প্রথমে মুসলমান ছিল,পরবর্তীতে ইসলাম ত্যাগ করেছে।

(৩)
বহু বিবাহ কে অস্বীকার না করে থাকলে সে কাফির হবে না। হ্যা নিজের জন্য অপছন্দ করার দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
এমন অস্থিরতা অনিচিৎ। বরং আপনার চেষ্টা খাকা চাই,নিজে কিভাবে আমল করবেন।মাতাপিতাকে কিভাবে নেক আমলের দাওয়াত দিবেন।

(৫)
তাদের অজ্ঞতার কারণে হলে,আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।

(৬)
তাদের উদ্দেশ্য নামাজ না পড়ানো নয়, বরং আপনার উগ্রতাকে নিয়ন্ত্রণ করা।উগ্রতাকে ইসলাম পছন্দ করে না।সুতরাং তাদের ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...