আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
272 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম @mufti emdadul haque শায়েখ। ।আমার কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ প্রশ্ন আছে।  যখন দ্বীন এর বুঝ বুঝতাম না ছোট ছিলাম তখন ব্যাটমিন্টন খেলার জন্য এনার্জি  বাল্প চুরি করে খেলা করেছি।  এখন এটাতো বান্দার হক মেরেছি । আমি তাদের নামে সাদাগা করেছিলাম কিন্তু আমার সঠিক মনে নেই। এখন তাদের এই টাকা ফেরত দিতে গেলে হিতে বিপরিত আমার ২ জন ব্যাক্তির নাম মনে আছে।  আমি চাইনা একটা এনার্জি বাল্প 200-250 টাকার জন্য কেয়ামত এ আটকে যায়।
এখন আমার সমাধান কি শায়েখ। তাদের কাছে গিয়াই কি আমাকে টাকা দিতে হবে।
প্রশ্ন ১: আমিকি তাদের নাম 250-300 টাকা সাদাকা করে দিলে হক আদায় হবে । নাকি আমাকে তাদের নিকটে গিয়ে টাকা দিতে হবে বা ক্ষমা চাইতে হবে।

প্রশ্ন ২: এমন ছোট খাটো অনেক হকই তো জীবনে মেরেছি হয়তো সব মনে নেই। আমি যদি প্রতি মাসে নিয়ত করে করে  ১০০০-১৫০০ টাকা করে সাদাকা করতে থাকি।  তাহলে কিয়ামত এ কি আমি এই বান্দার হক মারা থেকে পার পাবো কিনা যদি বলতেন। যেহেতু বান্দার হয় মারা কঠিন একটা বিষয় । এই গোনাহ তো মাপ হবেনা
প্রশ্ন। ৩: এই সাদাকা কি আমি এতিম খানায় দিতে পারবো বা অসহায় গরীব কে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যাদের যাদের বাল্ব চুরি করেছেন,হিসেব করে করে তাদের সবার নিকট টাকা পৌছিয়ে দিবেন। পৌছিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও যদি পৌছানো সম্ভব না হয়, তখন আপনি তাদের নামে উক্ত টাকা গুলি সদকাহ করে দিবেন। প্রতি মাসে দেয়া জরুরী নয়, বরং যত টাকার বাল্ব নিয়েছিলেন, সেই সমপরিমাণ টাকা এক কালিন হোক বা মাসিক হোক, আপনি সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (45 points)
শায়েখ আমি একজন মালিক এর wife এর বিকাশ নম্বরে ৩০০ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। একটা বাল্ব এর টাকা।  আমি নম্বরটি মেনেজ করেছি আমার পরিচিত এর লোকের মাধ্যমে ।এতে কি আমার হক আদায় হয়ে গেছে।  বাকি আছে একজন তার কাছে ডিরেক্ট ক্ষমা চাইবো আর তার নম্বর মেনেজ করতে পারলে তাকেও টাকা দিয়ে দেবো 
by (583,410 points)
জ্বী, এভাবে আপনি ক্ষমা পেতে পারেন। আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু’আ করুন। আল্লাহ অবশ্যই দু’আকে কবুল করে থাকেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...