বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
যারা রোজা রাখেনি, ইবাদত-বন্দেগি থেকে দূরে ছিল তাদের জন্য ঈদের খুশি নয়। রোজাদারের জন্য ঈদের আনন্দের বিষয়টি হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছেঃ-
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ نَزَلَ جِبْرِيْلُ ؑ فِىْ كُبْكُبَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُصَلُّونَ عَلٰى كُلِّ عَبْدٍ قَائِمٍ أَوْ قَاعِدٍ يَذْكُرُ اللّٰهَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدِهِمْ يَعْنِىْ يَوْمَ فِطْرِهِمْ بَاهٰى بِهِمْ مَلَائِكَتَه فَقَالَ: يَا مَلَائِكَتِىْ مَا جَزَاءُ أَجِيرٍ وَفّٰى عَمَلَه؟ قَالُوا: رَبَّنَا جَزَاؤُه أَنْ يُوَفّٰى أَجْرُه. قَالَ: مَلَائِكَتِىْ عَبِيدِىْ وَإِمَائِي قَضَوْا فَرِيضَتِىْ عَلَيْهِمْ ثُمَّ خَرَجُوا يَعُجُّونَ إِلَى الدُّعَاءِ وَعِزَّتِىْ وَجَلَالِىْ وَكَرَمِىْ وَعُلُوِّىْ وَارْتِفَاعِ مَكَانِىْ لَأُجِيْبَنَّهُمْ. فَيَقُوْلُ: ارْجِعُوْا فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ وَبَدَّلْتُ سَيِّئَاتِكُمْ حَسَنَاتٍ. قَالَ: فَيَرْجِعُونَ مَغْفُورًا لَهُمْ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيمَانِ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘লায়লাতুল কদর’ শুরু হলে জিবরীল আমীন মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) দলবলসহ (পৃথিবীতে) নেমে আসেন। তাঁরা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা আল্লাহর স্মরণকারী আল্লাহর প্রত্যেক বান্দার জন্য দু‘আ করতে থাকেন। এরপর ঈদুল ফিতরের দিন এলে আল্লাহ তা‘আলা মালায়িকার কাছে তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, হে আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)! বলো দেখি সে প্রেমিকের কী পুরস্কার হতে পারে যে নিজ কাজ সম্পাদন করেছে? মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) বলেন, হে আমাদের রব! তার পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেয়াই হচ্ছে তার পুরস্কার। তখন আল্লাহ বলেন, আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)! আমার বান্দা ও বান্দীগণ তাদের ওপর আমার অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। আজ (ঈদের দিন) আমার নিকট দু‘আর ধ্বনি দিতে দিতে ঈদগাহের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমার ইজ্জতের, বড়ত্বের, উঁচু শানের কসম! জেনে রাখো তাদের দু‘আ আমি নিশ্চয়ই কবূল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, আমার (বান্দাগণ)! আমি নিশ্চয়ই তোমাদের সকল অপরাধ মাফ করে দিলাম। তোমাদের গুনাহখাতাগুলোকে নেক কাজে পরিবর্তন করে দিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অতঃপর তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ী ফিরে যায়।
(মিশকাত ২০৯৬.বাইহাকী ৩৪৪৪)
রোজাদারের জন্যই যে কেবল পবিত্র ঈদ এসেছে। উপরোক্ত হাদিস সে সাক্ষ্য দেয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যাদের উপর রোযা ফরজ ছিলো,তবুও শরয়ী ওযর ব্যাতিত রোযা রাখেনি,বা ভেঙ্গে ফেলেছে,তাহলে ঈদের দিন তো তাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেননা,যেহেতু তারা ক্ষমা পাচ্ছেনা,সুতরাং তাদের আনন্দ নেই।
কেননা ক্ষমা পাওয়ার কারনেই তো এতে মুমিনের আনন্দ।