জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আপনার বোন আপনাকে হজ্ব করানোর দ্বারা যদি বদলী হজ্ব করানোর নিয়ত করে থাকেন তাহলে তা বদলী হজ্ব হিসেবে গণ্য হবে।
এই হজ্ব দ্বারা আপনার ফরজ হজ্ব আদায় হবে না।
আর যদি আপনার বোনের বদলী হজ্ব করানোর নিয়ত না থাকে বরং এমনিতেই আপনাকে হজ্ব করিয়ে থাকেন, যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, তাহলে আপনি যে হজ্বে যাচ্ছেন, আপনি এতে আপনাত ফরজ হজ্ব আদায়ের নিয়ত করলে আপনার ফরজ হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে হজ্বের খরচ দেওয়ার কারণে মালিকও একটি পূর্ণ হজ্বের সওয়াব লাভ করবেন।
ইনশাআল্লাহ তার আমলনামায়ও কবুল হজ্বের সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।
(ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/২১৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ
রাসুল স. ইরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের পথ দেখায় সে উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর ন্যায় সওয়াব পায়। {সহীহ মুসলিম,হাদীস নং-১৮৯৩}
عمر بن الخطاب رضي الله عنه على المنبر قال سمعت رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول (إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرىء ما نوى
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। [বুখারী, হাদীস নং-১]