আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
306 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,


১/ কোন ব্যাক্তির যদি তালাকের সন্দেহ হয় এবং সে যদি ১ তালাক ধরে নিয়ে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বলে,"তোমাকে আমার স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে নিলাম।"

পরবর্তীতে সে জানতে পারল যে তার তালাকের সন্দেহ আসলে ভুল ছিল। অর্থাৎ সেরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।


তাহলে কি তার ঐ বাক‍্যের জন্য সত্যিই ১ তালাক পতিত হবে?


[বি: দ্র:-উক্ত ব্যক্তির শুধু তালাকের সন্দেহ হয়েছিল তাই সে ১ তালাক ধরে নিয়ছিল, কিন্তু সে মুখে এই কথা বলেননি বা স্বীকারোক্তি দেননি যে তার তালাক হয়েছে।]


২/কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে ৩ তালাক দিয়ে দেয় এবং তার স্ত্রী যদি অন্য কোথাও শরীয়াহ অনুযায়ী বিয়ে করে, কিন্তু অনেক দিন পর লোকটির যদি মনে পরে যায় যে, সে তার স্ত্রীকে ৩ তালাক দেয়ার অনেকদিন আগেই কেনায়া বাক্যের মাধ্যমে ১ তালাকের নিয়তে বায়েন তালাক দিয়েছিলেন(যা তার মনে ছিল না)।

এ ক্ষেত্রে তাদের বিবাহের বিধান কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

(০১)
না,এতে তালাক পতিত হবেনা। 

(০২)
https://ifatwa.info/40253/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৩৭৭ তে আছেঃ-

الطَّلَاقُ الصَّرِيحُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ طَلْقَةٌ، ثُمَّ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ تَقَعُ أُخْرَى، وَيَلْحَقُ الْبَائِنُ أَيْضًا بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ أَوْ خَالَعَهَا عَلَى مَالٍ، ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ عِنْدَنَا، وَالطَّلَاقُ الْبَائِنُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ تَقَعُ طَلْقَةٌ أُخْرَى، وَلَايَلْحَقُ الْبَائِنُ الْبَائِنَ". ( ١ / ٣٧٧)
সারমর্মঃ
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তার সাথে পুনরায়  স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যমেও তালাক যুক্ত করা যায়।
অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তারপর স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,তবে অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক তালাকে বায়েন পতিত হলে ইদ্দতের পরে কোনো তালাক পতিত হবেনা।
তবে ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবে।
তবে অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবেনা।     

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
""  সে তার স্ত্রীকে ৩ তালাক দেয়ার অনেকদিন আগেই কেনায়া বাক্যের মাধ্যমে ১ তালাকের নিয়তে বায়েন তালাক দিয়েছিলেন""

সুতরাং উক্ত ব্যাক্তির সাথে সেই মহিলার ঐ এক তালাকে বায়েন দেয়ার দিন থেকেই বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলো।
এর পরবর্তী তাদের ঘর সংসার যেনার ঘর সংসার হয়েছে।

এখন কথা হলো, সে ব্যাক্তি তাকে যে তিম তালাক দিয়েছে, এটি যেহেতু ঐ মহিলার সেই এক তালাকে বায়েন পতিত হওয়ার অনেক পরে,তো এখানে ইদ্দত কাল (৩ হায়েজ) অতিবাহিত হওয়ার পর সেই তিন তালাক দিয়ে থাকলে সেই তিন তালাক তো পতিত হয়নি।
আর ইদ্দত কাল অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই তিন তালাক দিয়ে থাকলে সেই তিন তালাক পতিত হয়েছে।
,
তবে সর্বাবস্থায় ঐ মহিলার অন্যত্রে বিবাহ,২য় স্বামীর সাথে তার ঘর সংসার বৈধ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
এখানে স্পষ্ট বাক্য বলতে কি বুঝায়? দয়া করে যদি ইকটু বলতেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...