শরীয়তের বিধান হলো পুরুষাংগের খাতনার স্থান স্ত্রীর (যৌনাংগের) খাতনার স্থান অতিক্রম করলেই গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়,চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক।
পুরুষাংগের খাতনার স্থান স্ত্রীর (যৌনাংগের) খাতনার স্থান অতিক্রম করলেই রোযা ভেঙ্গে যায়,কাজা ও কাফফারা উভয়টিই ওয়াজিব হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِذَا جَاوَزَ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ فَعَلْتُهُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاغْتَسَلْنَا
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, পুরুষাংগের খাতনার স্থান স্ত্রীর (যৌনাংগের) খাতনার স্থান অতিক্রম করলে গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। আমি (আয়িশাহ) ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছি, অতঃপর আমরা গোসল করেছি। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬০৮)
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا جَلَسَ بَيْنَ شُعَبِهَا الْأَرْبَعِ ثُمَّ جَهَدَهَا، فَقَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْغُسْلُ» وَفِي حَدِيثِ مَطَرٍ وَإِنْ لَمْ يُنْزِلْ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন কেউ তার স্ত্রীর চার হাত-পায়ের মাঝখানে বসবে এবং তার সাথে মিলবে তখন তাঁর ওপর গোসল ফরয হবে। মাতার এর হাদীসে যদিও বীর্য নির্গত না করে-বাক্যটি অতিরিক্ত রয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৪৮]
عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: إِنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ أَهْلَهُ ثُمَّ يُكْسِلُ هَلْ عَلَيْهِمَا الْغُسْلُ؟ وَعَائِشَةُ جَالِسَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَفْعَلُ ذَلِكَ، أَنَا وَهَذِهِ، ثُمَّ نَغْتَسِلُ»
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার কোন এক ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল, যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তারপর বীর্য নির্গত হবার পূর্বেই তার পুরুষাঙ্গ বের করে ফেলে তাহলে কি তাদের উভয়ের ওপর গোসল ফরয হবে? এ সময়ে আয়িশা (রাঃ) সেখানে উপবিষ্ট ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এবং এ (আয়িশা (রাঃ) ঐরুপ করি এরপর আমরা গোসল করে ফেলি। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৫০]
الفتاوى الهندية (1/ 205):
"من جامع عمداً في أحد السبيلين فعليه القضاء والكفارة، ولايشترط الإنزال في المحلين، كذا في الهداية. وعلى المرأة مثل ما على الرجل إن كانت مطاوعةً، وإن كانت مكرهةً فعليها القضاء دون الكفارة...
সারমর্মঃ
যদি কেহ মহিলার লজ্জাস্থানের দুই স্থানের মধ্যে হতে কোনো এক রাস্তা দিয়ে সহবাস করে,তাহলে তার উপর কাজা কাফফারা উভয়টিই আবশ্যক হবে।
বীর্যপাত হওয়া শর্ত নয়।
মহিলার ক্ষেত্রে যদি সে স্বামীর অনুগত হয়ে সহবাস করে,তাহলে তাকের কাজা কাফফারা দিতে হবে।
আর যদি জবরদস্তি করে তার সাথে সহবাস করা হয়,তাহলে তার উপর শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আবশ্যক হবে।
(০২)
রোজা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে মিলিত হলে যদি sexual intercourse তথা সহবাস ব্যাতীত বীর্যপাত হয় তবে রোজা ভেংগে যাবে।
এক্ষেত্রে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475، وكذا فى الهندية-1/205، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، كتاب الصوم(
সারমর্মঃ
রোযাদার যদি নিজ লিঙ্গকে চেষ্টা (মৈথুন) করে,তাতে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়,তাহলে রোযার কাজা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
আরো জানুনঃ