আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

১)স্টুডেন্ট যদি ব্যক্তিগত কারনে মাসের অর্ধেক না পড়ে তাহলে সেই মাসের পুরো বেতনটা কি উস্তাদ এর জন্য হালাল হবে?

২) মেয়েদের গয়নার উপর যে যাকাতটা দিতে হয় সেটা কে দিবে মেয়ের নিজের কোনো ইনকাম না থাকলে? একজন থেকে জানতে পেরেছি মেয়ের মোহরানার টাকা থেকে দিতে হবে এটা কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।

 পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে, 
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....

তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)। 
.
ইসলামে অমুসলিমদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করা থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, '(অমুহাজির মুসলমানরা) তোমাদের সাহায্য চাইলে তাদের সাহায্য করা তোমাদের অবশ্যকর্তব্য, তবে সে সাহায্য যদি এমন কোনো (অমুসলিম) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হয়, যাদের সঙ্গে তোমাদের কোনো চুক্তি আছে, তবে নয়।' (সুরা আনফাল, আয়াত : ৭২)
.
আরো জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্টুডেন্ট যে কদিন/ যে কয় মাসের ক্লাশ করার জন্য তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে,সেটি পূরন করতে হবে।
এভাবে ব্যক্তিগত কারনে তাদেরকে না জানিয়ে ক্লাশ না করা ঠিক হবেনা।

হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষের সাথে  আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেয়,যে সে আর ক্লাশ করবেনা,তাদের সাথে আলোচনা করে কোচিং পুরোপুরি ছেড়ে দেন,অথবা তার এই অর্ধেক মাস ক্লাশ না করার কারন তাদের বলে বিষয়টি সমাধান করে নেয়,  সেক্ষেত্রে তারা রাজি হলে পুরো মাসের আর বেতন দিতে হবেনা।
,
কর্তৃপক্ষের সাথে  আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে না নেয়া হলে এক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান -এর নিয়ম এক্ষেত্রে বেতন চালিয়ে যাওয়া হলে পূর্ণ  বেতন দিতে হবে।  

(০২)
তার উপর যাকাত ফরজ হলে সে যেভাবেই হোক, মোহরানার টাকা থেকে হোক,বা করজ নিয়ে হোক,বা গহনার কিছু বিক্রয় করে হোক,তাকে যাকাত দিতেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...