জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।
পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে,
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....
তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)।
.
ইসলামে অমুসলিমদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করা থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, '(অমুহাজির মুসলমানরা) তোমাদের সাহায্য চাইলে তাদের সাহায্য করা তোমাদের অবশ্যকর্তব্য, তবে সে সাহায্য যদি এমন কোনো (অমুসলিম) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হয়, যাদের সঙ্গে তোমাদের কোনো চুক্তি আছে, তবে নয়।' (সুরা আনফাল, আয়াত : ৭২)
.
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্টুডেন্ট যে কদিন/ যে কয় মাসের ক্লাশ করার জন্য তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে,সেটি পূরন করতে হবে।
এভাবে ব্যক্তিগত কারনে তাদেরকে না জানিয়ে ক্লাশ না করা ঠিক হবেনা।
হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেয়,যে সে আর ক্লাশ করবেনা,তাদের সাথে আলোচনা করে কোচিং পুরোপুরি ছেড়ে দেন,অথবা তার এই অর্ধেক মাস ক্লাশ না করার কারন তাদের বলে বিষয়টি সমাধান করে নেয়, সেক্ষেত্রে তারা রাজি হলে পুরো মাসের আর বেতন দিতে হবেনা।
,
কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে না নেয়া হলে এক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান -এর নিয়ম এক্ষেত্রে বেতন চালিয়ে যাওয়া হলে পূর্ণ বেতন দিতে হবে।
(০২)
তার উপর যাকাত ফরজ হলে সে যেভাবেই হোক, মোহরানার টাকা থেকে হোক,বা করজ নিয়ে হোক,বা গহনার কিছু বিক্রয় করে হোক,তাকে যাকাত দিতেই হবে।