বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6167 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মু্ক্তাদি যদি ইমাম সাহেবকে রুকুতে পায়,এবং তৎক্ষণাৎ নামাযে শরীক হয়,এক্ষেত্রে তাসবীহ এর সংখ্যার কোনো ধর্তব্য নাই।বরং এক মুহুর্তের জন্য জন্য ইমামকে পাওয়া গেলেও উক্ত রাকাতকে পাওয়া গিয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।এমনকি যদি ইমাম রুকুর অবস্থা থেকে উঠতে ছিলেন, এমতাবস্থায় ইমাম যদি রুকুর নিকটবর্তী থাকেন,এবং দাড়ানোর হালত থেকে দূরে থাকেন,তাহলে এমতাবস্থা্য় রুকুতে শরীক মুক্তাদিকে নামাযে শরীক ধরে নেয়া হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২৯২)যেমন বর্ণিত রয়েছে-
او شرع في الانحطاط و شرع الامام في الرفع اعتد بها
(তাকরিরাতে রাফেয়ী-২/৯২)
"ومن أدرك إمامه راكعا فكبر ووقف حتى رفع الإمام رأسه" من الركوع أو لم يقف بل انحط بمجرد إحرامه فرفع الإمام رأسه قبل ركوع المؤتم "لم يدرك الركعة" كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما
যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে,অতঃপর সে তাকবীর বলে দাড়াবে,এমতাস্থায় যদি ইমাম সাহেব রুকু থেকর মাথাকে তুলে নেয়,অথবা মুক্তাদি তাকবীর বলে না দাড়ায় বরং রুকু যাওয়ার জন্য ঝুকে,এবং ইমাম সাহেব মুক্তাদির রু'কুর পূর্বেই মাথাকে তুলে নেন,তাহলে বুঝা যাবে যে,মুক্তাদি রু'কুই পায়নি।যেমন ইবনে উমর রাযির আসর থেকে বুঝা যায়।(মারিকল ফালাহ-১/৪৫৫)(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি আপনার নামাযের অবস্থাকে আবার স্বরণ করে দেখবেন যে, আপনি কি বাস্তবেই রুকু পেয়েছেন।যদি রুকু না পেয়ে থাকে, তাহলে আপনি যেহেতু পরবর্তীতে মাসবুকের মত নামায পড়েছেন, তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।তবে যদি রুক পেয়ে থাকেন, তাহলে যেহেতু আপনি ৫ রাকাত পড়ে নিয়েছেন, তাই আপনি আবার নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।
(২)
মানুষ দেখে ফেলবে, রিয়া চলে আসবে, এমন ধারণা পাল্টে দেয়াই উচিৎ। বরং কোনো প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব না রেখে বরং নামায চালিয়ে যাওয়াই উচিৎ। যত লোকই দেখুক।এতে রিয়া হবে না।ইবাদত নষ্ট হবে না।
(৩)
জ্বী, আল্লাহর নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অবশ্যই তাকে কিছু না কিছু দিয়ে দেয়া উত্তম ও উচিৎ।হ্যা যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি তাকে যৎ সামান্য দিয়ে দিবেন।
(৪)
জ্বী, ফিতরার টাকা আগে দেয়া যাবে।