আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in সালাত(Prayer) by (50 points)
edited by
ইমাম সাহেবকে রুকুতে সামান্য সময় পেলেই রাকাত পেয়েছে ধরা হয় থাকে।

আজকে রুকুতে যাবার জন্য যখন পিঠ মাত্র বাকানো শুরু করেছি এমন অবস্হায় ইমাম সামিআল্লাহু লিমন হামিদা বলে। পুরোপুরি রুকুতে তার ঐটা বলার আগে যেতে পারিনি।

তাছাড়া আমাদের মসজিদের ইমাম সাধারনত রুকু থেকে পুরো উঠে সামিআল্লাহু লিমন হামিদা বলে যাতে কেউ ইমামের আগে না যেতে পারে। তো তার মানে আমার রুকুতে যাওয়ার আগেই সম্ভাবনা আছে সে রুকু থেকে উঠে গেছে। তাই আমি ওই রাকাত পায়নি ধরে নিয়েছি, পরে এক রাকাত পরে নিয়েছি।

১) এখন সন্দেহ হচ্ছে আসলে আবার ওই রাকাত অতিরিক্ত পরলাম কিনা?? নামাজ কি সহিহ হয়েছে?

২) নামাজে যদি আশেপাশে লোক থাকার কারণে নামাজের কিরাত, সিজদা সুন্দর দীর্ঘ না করে উল্টো ছোট করি তবে সেটাও কি রিয়া হবে? দেখা যায় কেউ না থাকলে হয়ত বেশি দোয়া করতো সিজদাতে, মানুষ থাকায় কে কি মনে করবে ভেবে অল্প সিজদা দিল। এটা কি রিয়া?

৩) একটা ভিডিওতে শুনেছিলাম, হাদীস নাকি আছে কেউ আল্লাহর ওয়াস্তে সাহায্যের আবেদন করলে নাকি তাকে কিছু না কিছু দিতে হয়। এটা কি সঠিক?
আমি সাধারণত যাদের দেখে মনে হয় এরা প্রতিদিন ভিক্ষাই করে তাদের টাকা দেই না। যাদের দেখে আসলেই অসহায় মনে হয় তাদের দেই। কাজটা কি ঠিক হচ্ছে?

৪) ফিতরার টাকা কোন প্রয়োজনে ঈদের দিন না দিয়ে তার আগেই দিলে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6167 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মু্ক্তাদি যদি ইমাম সাহেবকে রুকুতে পায়,এবং তৎক্ষণাৎ নামাযে শরীক হয়,এক্ষেত্রে তাসবীহ এর সংখ্যার কোনো ধর্তব্য নাই।বরং এক মুহুর্তের জন্য জন্য ইমামকে পাওয়া গেলেও উক্ত রাকাতকে পাওয়া গিয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।এমনকি যদি ইমাম রুকুর অবস্থা থেকে উঠতে ছিলেন, এমতাবস্থায় ইমাম যদি রুকুর নিকটবর্তী থাকেন,এবং দাড়ানোর হালত থেকে দূরে থাকেন,তাহলে এমতাবস্থা্য় রুকুতে শরীক মুক্তাদিকে নামাযে শরীক ধরে নেয়া হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২৯২)যেমন বর্ণিত রয়েছে-
او شرع في الانحطاط و شرع الامام في الرفع اعتد بها
(তাকরিরাতে রাফেয়ী-২/৯২)

"ومن أدرك إمامه راكعا فكبر ووقف حتى رفع الإمام رأسه" من الركوع أو لم يقف بل انحط بمجرد إحرامه فرفع الإمام رأسه قبل ركوع المؤتم "لم يدرك الركعة" كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما
যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে,অতঃপর সে তাকবীর বলে দাড়াবে,এমতাস্থায় যদি ইমাম সাহেব রুকু থেকর মাথাকে তুলে নেয়,অথবা মুক্তাদি তাকবীর বলে না দাড়ায় বরং রুকু যাওয়ার জন্য ঝুকে,এবং ইমাম সাহেব মুক্তাদির রু'কুর পূর্বেই মাথাকে তুলে নেন,তাহলে বুঝা যাবে যে,মুক্তাদি রু'কুই পায়নি।যেমন ইবনে উমর রাযির আসর থেকে বুঝা যায়।(মারিকল ফালাহ-১/৪৫৫)(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি আপনার নামাযের অবস্থাকে আবার স্বরণ করে দেখবেন যে, আপনি কি বাস্তবেই রুকু পেয়েছেন।যদি রুকু না পেয়ে থাকে, তাহলে আপনি যেহেতু পরবর্তীতে মাসবুকের মত নামায পড়েছেন, তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।তবে যদি রুক পেয়ে থাকেন, তাহলে যেহেতু আপনি ৫ রাকাত পড়ে নিয়েছেন, তাই আপনি আবার নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।

(২)
মানুষ দেখে ফেলবে, রিয়া চলে আসবে, এমন ধারণা পাল্টে দেয়াই উচিৎ। বরং কোনো প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব না রেখে বরং নামায চালিয়ে যাওয়াই উচিৎ। যত লোকই দেখুক।এতে রিয়া হবে না।ইবাদত নষ্ট হবে না।

(৩)
জ্বী, আল্লাহর নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অবশ্যই তাকে কিছু না কিছু দিয়ে দেয়া উত্তম ও উচিৎ।হ্যা যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি তাকে যৎ সামান্য দিয়ে দিবেন।

(৪)
জ্বী, ফিতরার টাকা আগে দেয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...