বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহশিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন হেকমতে বিশেষত শিক্ষার স্বার্থে শিক্ষাগ্রহণের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাময়িকভাবে যতদিন না পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে,অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বিস্তারিত জানতে পারবেন-
434
কিন্তু চাকুরীর ক্ষেত্রে তেমন কোনো বিশেষ হেকমত নেই,যার দরুণ পর্দার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শীতিলতা আসবে।সুতরাং এ সব চাকুরী থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখাই তাকওয়ার দাবী।
হ্যা কোনো মানুষ শতচোষ্টার পরও অন্যকোনোভাবে খোরাকির ব্যবস্থা না করতে পারলে,ইস্তেগফারের সাথে এমন চাকুরীতে জয়েন্ট হতে পারবে।তবে যখনই কোনো হালাল চাকুরীর সুযোগ সামনে চলে আসবে,তখন সাথে সাথেই তাকে উক্ত চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে।
বিশেষভাবে নিম্নোক্ত হাদীসের প্রতি খেয়াল রাখবেন,
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)এ সম্পর্কে আরো জানুন-
669