আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা শায়েখ।এই প্রশ্নটা জানা খুব প্রয়োজন।

১।শায়েখ আপনাদের এখানে প্রশ্ন করেছিলাম কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে "তুমি আমার জন্য হারাম" এরকম বললে তালাক হয় না।স্বামী তালাকের অধিকার  দিলেও নিজের দিকে ইন্গিত না করে বললে।আমার প্রশ্ন যদি কোন স্ত্রী না জানে তার স্বামী তাকে তালাকের অধিকার দিছে মুখে দিলেও সে জানে না স্ত্রীরা তালাক দিতে পারে ।আর স্ত্রী নিজেও জানে না  স্ত্রীরা তালাক দিতে পারে যে সেটা।শুধু যদি জানে স্বামীরা  দিতে পারে। স্ত্রী যদি স্বামীকে  বলে আজ থেকে আমি তুমার জন্য হারাম  এরপর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রী যদি নিজের দিকে তালাকের ইন্গিত না করে রাগে বলে তাহলে? বা কোন  নিয়তে বলেছে বা নিজের দিকে করেছে কিনা না জানে তাহলে কি তালাক হবে? আগের কথা তহ মোট কথা মেয়েটা জানতই না যে মহিলারা তালাক দিতে পারে স্বামী অধিকার  দিলেও।বললেও হয়ত স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলেছে।সে নিজেই জানে না কোন দিকে ইন্গিত করেছে কারন সে এ বিষয়ে কিছুই জানত না যে মহিলারা তালাক  দিতে পারে।জানার পর থেকে তার চিন্তা হয়। আগে এই বিষয়,সম্পর্কে সে জানত না।জানত আদালতের মাধ্যমে দিতে পারে মেয়েরা মুখে পারে না।কারন সবসময় শুনেছে ছেলেরা মানে স্বামীরা পারে।এখন কি করণীয়? সে পুরো ভেন্গে পড়েছে।স্ত্রীর এমন কথায় কি তালাক হবে? অধিকার দিলেও?কারন তার স্বামী তাকে তালাকের অধিকার দিয়েছে।

২।আমি প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে? ঠিক এমনটা হয়েছে কিনা বা এসব কথা হয়েছে কিনা আমার সাথে আমার মনে নেই।হয়ত কিছু কিছু মিল থাকতে পারে।এসব কথা নিয়ে মনে ওয়াসওয়াসা আসে।মনে হয় এরকম বলেছে  ওইরকম বলেছে এমন চিন্তা আসে।তাই জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।উপরে এসব প্রশ্ন করার কারনে কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?আর বলে থাকলেও নিজের দিকে ইন্গিত না করে বললে কি সমস্যা হবে?

উপরে কোন প্রশ্ন করার কারনে কি আমার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নগুলো স্পষ্ট নয়,দয়াকরে অতি সংক্ষেপে আপনি প্রশ্নটিকে ইডিট করে দিবেন। আমরা যা বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকেই বলছি,

(১)
তালাক হবে না।

(২)
বৈবাহিক জীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...