আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (109 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

প্রথম প্রশ্ন টি হল আমার খালার অনেকগুলো সন্তান রয়েছ।বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে খালা আমাকে টাকা দেয়। , খালার সন্তানগুলো কেউ ব্যাংকে চাকরি করে অথবা অথবা কেউ স্কুলে চাকরি করে অথবা জমি থেকে যা আসে সেখান থেকে টাকাগুলো খালাকে দেয়। তাই আমাকে যখন খালা টাকা দেয় নিশ্চিত হওয়া যায়না টাকাগুলার উৎস কোথায়।

আরেকটি ব্যাপার হল,আমার খালাত ভাই(যিনি ব্যাংকে জব করেন) আমার নন মাহরাম হওয়াতে তার সামনে যাইনা,অনেক সময় সে আমার খালাকে টাকা দিয়ে বলে আমাকে দিতে।কিন্তু আমি জানিনা ঠিক কোন টাকা কি পরিমাণ টাকা খালাত ভাই(ব্যাংকে জব করে) দিচ্ছেন

এখন উক্ত সমস্ত ক্ষেত্রে আমার টাকা নেয়া জায়েজ হবে কিনা হলে৯ কতটুক নেয়া জায়েজ।আর নাজায়েজ অংশ টুকু দিয়ে আমি দ্বীনি বই কিনতে পারব কিনা

দ্বিতীয় প্রশ্ন হল,দেশের উপজাতীদের সংস্ক্রিতি ইতিহাস ঐতিহ্য কালচার দেখে এক সময় আমার মনে মনে ভেবেছিলাম এরাত তাওহীদ থেকে বঞ্চিত,পরে ভেবেছি ইসলামের দাওয়াত দিয়ে এদের আলোকিত করলে এদের ঐতিহ্য কালচার নষ্ট হবে অযথা ঝামেলা পাকানোর দরকার নাই,এদেএ সুন্দর পাহাড়ি জীবন নষ্ট হবে।

পরে বেশ কিছুদিন পর বুঝতে পেরেছি এই চিন্তা টা গলদ এবং এতে কুফুরি আছে।

আমি এখন ভীত এতে করে আমার ঈমান ভংগ হয়েছে কিনা। জানাবেন

৩, স্বামী স্ত্রী যদি বনিবনা না হয়, স্ত্রী যদি স্বামীর কথা না শুনে,স্বামী হতাশ হয়ে তালাকের নিয়তে যদি বলে 'দেখো নিজে যা ভাল বুঝ কর' বা 'যা খুশি কর' এতে কি তালাক হবে? আর উক্ত কথা বলার পর স্ত্রী যদি তালাক চায় তাহলে কি অটো তালাক হবে? কারণ স্বামীত অনুমতি দিল যে যা খুশি করতে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)

সুতরাং বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

আপনার গরবী হলে যাচাইবাচাই না করেই গ্রহণ করতে পারবেন। আর ধণী হলে কিন্তু পারবেন না।

(২)
উপজাতীয় সম্পর্কে আপনি যে চিন্তা করছেন, সেই চিন্তা সঠিক নয়।তবে এজন্য আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
'দেখো নিজে যা ভাল বুঝ কর' বা 'যা খুশি কর' এদ্বারা তালিকের অধিকার বুঝানো হচ্ছে। স্ত্রী উক্ত মজলিসে নিজের উপর তালাক দিলে তালাক হব। নতুবা স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...