It's related to bank interest

Question

আমার আব্বুর পেনশনের টাকা আসতে প্রায় দুই বছর লাগবে৷। তো এর মধ্যে মামা রা চাচ্ছে যে,  চারজন একটা এমাউন্ট ব্যাংকে রেখে দিবে। যেটা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে দিবে মাসে মাসে যেনো আমাদের হাত খরচ টা চলে।৷ সঞ্চয়পত্রের বিষয় টা হালাল না,কিছু টা বিতর্ক আছে।
আমাদের এখন মানা করার ও অবস্থা নাই৷
এইটা উনারা করে দিতেসে যাতে আমরা চলতে পারি৷ আমরা যে মানা করে দিবো, আমাদের আয়ের  অন্য কোনো মাধ্যম ও নাই। আর উনারা হালাল হারাম নিয়ে এতটা কনসার্ন ও না।  আর বললে এখন উলটা আমাদের উপর রাগ হবে। দাদার বাড়ি থেকেও দেখার কেউ নাই
সেক্ষেত্রে কি আমাদের গুনাহ হবে.?
আমরা তো জেনেই ভোগ করবো টাকা টা।  সেক্ষেত্রে করণীয় কি(এটা আমার এক বান্ধুবী জানতে চেয়েছে)

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/866 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;

সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম। তবে জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়। তাই যদি কারো অন্য কোনো উপায় না থাকে,শত চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না পারে,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য  ইস্তেগফারের সাথে লোন নিতে পারবে, জায়েয রয়েছে।

বিঃদ্র:
এ বিধান শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না।এবং তার নিকট এছাড়া অন্য কোনো রাস্তাও নেই।তাই সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না। (জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি আপনার বাবা বা ভাই যেকোনো উপায়ে ডালভাতের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন, তাহলে আপনাদের জন্য এভাবে সঞ্চয় পত্রের মুনাফা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
তবে যদি আপনার বাবা বা ভাই সম্পূর্ণ অক্ষম হন, তাহলে আপনার ডালভাতের ব্যবস্থা পর্যন্ত উক্ত সুদ গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু অতিরিক্ত কোনো কিছু ই আপনারা গ্রহণ করতে পারবেন না।।।।।।