ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1956 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
উসীলা গ্রহণ সম্পর্কে দু-পক্ষ্য থেকেই সীমালঙ্ঘন পরিলক্ষিত হচ্ছে,অথচ আমাদেরকে হুকুম দেয়া হয়েছিলো,শরীয়তের আওতাভূক্ত থাকতে।
যেমন আমাদের হানাফীদের কেউ কেউ সরাসরি ব্যক্তিত্বর উসীলাকে জায়েয মনে করেন।যা কাম্য নয়।বরং ব্যক্তিত্বর উসীলা তখনই বৈধ যখন ব্যক্তিত্বর মাধ্যমে নেককাজকে উদ্দেশ্য নেওয়া হবে।নতুবা জায়েয হবে না।
প্রশ্ন হতে পারে মৃত মানুষের উসিলা জায়েয হলে, উমর রাযি কেন নবীজীর উসীলা গ্রহণ না করে ইবনে আব্বাস রাযি এর উসীলা গ্রহণ করলেন?
মুহাদ্দিসিনে কেরামগণ উক্ত প্রশ্নের বিভিন্ন জবাব দিয়েছেন।
সর্বোত্তম জবাব হলো,এজন্য দিয়েছেন যাতে মানুষগণ জানতে পারে যে, মৃত মানুষের উসীলা গ্রহণ করাও জায়েয।
আরো.....
{আহসানুল-ফাতাওয়া, ১/৩৩১}
{ ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ-১/৭০}
{ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়্যাহ-১/২১৭}
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ ব্যতিত আর কোনো মৃত মানুষের উসিলা গ্রহণ পূর্বক দু'আ জায়েয হবে না।হ্যা, জীবিত নেককারদের উসিলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয।
(২)
এমন কোনো আ'মল কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়।হ্যা, আপনি করতেও পারেন,আবার নাও করতে পারেন।তবে এটাকে সুন্নত মনে করা যাবে না।
(৩)
উনি মা'যুর।তাই প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবেন।এবং সেই অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যত সম্ভব নামায পড়বেন।
(৪)
এটা বলার উদ্দেশ্য যদি হয়, রাসূলুল্লাহ হাজির নাজির তথা,রাসূলুল্লাহ এখানে এসেছেন,আমাদেরকে দেখছেন, তাহলে এটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। ইয়া অর্থ হে!
সুতরাং এই শব্দ ব্যবহার না করাই উত্তম।