3 দিনের ইতিকাফ ও কাযা

Question

Assalamu Alaikum
প্রথমে 3 দিনের ইতিকাফের নিয়ত করেছিলাম. 3 দিন পূর্ণ হয়েছে ইফতার এর সময়ে । এরপর মাগরিবের নামাজ পড়তে পাশের রুমে গেছিলাম বাধ্য হয়ে অনেক গরম এ অসুস্থ লাগছিলো তাই ।

এক্ষেত্রে কি কাযা আদায় করতে হবে? করলে কয়দিন  ?

ওইদিন আবারো নতুন ভাবে 3 দিনের নিয়ত করেছিলাম । কিন্তু আজ ভোরে বের হয়ে এসেছি অসুস্থতার জন্য। তাহলে কি কাযা আদায় করতে  হবে? আর এতে কি পাপ হবে  ?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/16195 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে যে,
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.»
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৯) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়।

রমজান মাসের শেষ বিশদিন কেউ ইতিকাফের নিয়ত করল। এরমধ্যে প্রথম দশদিনের ইতিকাফ কে শরীয়তের পরিভাষায় মুস্তাহাব ইতিকাফ বলা হবে।

«وَلَوْ اعْتَكَفَ الرَّجُلُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُوجِبَ عَلَى نَفْسِهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ.»
- «الفتاوى الهندية» (1/ 214)
যদি কেউ ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করে , অতঃপর ইতিকাফকে ভঙ্গ করে তাহলে তার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, আপনি সম্ভবত নিজের উপর তিন দিনের ইতিকাফকে ওয়াজিব বা জরুরী করেননি, তাই আপনাকে ইতিকাফ কাযা করতে হবে না।তবে যদি নিজের উপর ওয়াজিব বা জরুরী করে নিলে যতদিন পূর্ণ হয়েছে, তার অবশিষ্ট দিনের ইতিকাফকে কাযা করতে হবে।