রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কেফায়া। এতেকাফের জন্য ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্বেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পর মসজিদ থেকে বের হবে।
,
মহল্লার জামে মসজিদে ইতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়ার মানে হলো, সবার পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন হলেও আদায় করতে হবে। অন্যথায় পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُولُ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর [ক্বদর] অনুসন্ধান কর। (বুখারী ২০২০.২০১৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯০)
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، أَنَّ نَافِعًا، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ.
ইসমাঈল ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতেকাফ করতেন।
(বুখারী ১৮৯৮)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 442):
"(قوله: أي سنة كفاية) نظيرها إقامة التراويح بالجماعة، فإذا قام بها البعض سقط الطلب عن الباقين، فلم يأثموا بالمواظبة على ترك بلا عذر، ولو كان سنة عين لأثموا بترك السنة المؤكدة إثماً دون إثم ترك الواجب"
সারমর্মঃ
ইতেকাফ করা সুন্নাতে কিফায়াহ,জামাআতের সাথে তারাবিহ পড়ার ন্যায়।
যদি কিছু মানুষ আদায় করে,তাহলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।
বিধান সাকেত হবে,,,,।
الفقه على المذاهب الأربعة :
"الحنفية قالوا: هو سنة كفاية مؤكدة في العشر الأواخر من رمضان، ومستحب في غيرها فالأقسام عندهم ثلاثة".
( كتاب الإعتكاف، أقسامه ومدته، ١ / ٥٢٩، ط: دار الكتب العلمية)
হানাফি মাযহাব মতে রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়াহ।
★রাসুলুল্লাহ সাঃ ও সাহাবায়ে কেরামদের থেকে নিরবিচ্ছিন্ন এই ইতিকাফের আমল যাহা আজ অবধি চলে আসছে,এ থেকে ফুকাহায়ে কেরামগন এই মাসয়ালা বের করেছেন।
★ অন্যান্য কিছু মাযহাব ও কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে মহল্লার কেউ ইতেকাফ না করলে সকলেই গুনাহগার হবেনা।