আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
339 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।শায়েখ কোন মেয়েকে তালাকের অধিকার দিছে তবু সে জানে না।সে জানে না  মেয়েরা তালাক দিতে পারে।সে যদি মাঝে মাঝে স্বামীর ব্যবহারে কস্ট পেয়ে আল্লাহর কাছে বলে আল্লাহ আমার কপালে কি কারো ভালবাসা নাই? কেউ এমনকি নাই যে আমাকে ভালবাসবে? থাকলে পাঠাও আমার জীবনে।আবার মাঝে মাঝে হয়ত বলত নয়ত স্বামীর ভালবাসা পায় মত দোয়া করত এসব কথা বলার পর কান্না করে করে।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি তালাক হবে?কস্ট পেয়ে বলত স্ত্রী।কাউকে তহ বুঝাতে পারত না আল্লাহকে বুঝাত।সে জানেই না মেয়েরা তালাক দিতে পারে।তালাকের চিন্তা মাথায় আসলেও নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি কোনদিন।তখন ও বলে নি এসব কথা নিজের দিকে ইন্গিত করে। আবার স্বামিকে বললে স্বামি যদি বলে আবার অন্য কাউকে লাগতেছে নাকি? যাও কর গা বিয়ে।এসব কথা যদি স্বামি তালাকের নিয়ত ছাড়া এমনিতে বলে তাহলে কি তালাক হবে?  বা স্বামী নিয়তকে অস্বীকার করলে?

২।ধরেন স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিছে কিন্তুু স্ত্রী জানে না মহিলারা তালাক দিতে  পারে।স্ত্রীর সাথে অনেক দিনের সম্পর্ক বিয়ের আগে থেকে।স্ত্রী যদি বিয়ের পর ঝগড়া হলে ব্রেকআপ বলে তা আবার নিজের দিকে ইন্গিত না করে তাহলে কি তালাক হবে?

৩।স্ত্রীকে যদি তালাকের অধিকার দেয়। স্ত্রী যদি স্বামিকে বলে যদি চালাতে না পার বউকে বিয়ে না করা উচিত ছিল।আর যদি বলে আমার সাথে কথা বলিও না এখন(মানে পরে বলবে) বা রাখি ভাল লাগতেছে না এসব বললে কি তালাক হবে?

৫।স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে এত বেঈমান কেন তুমি? কথা দিয়ে কথা রাখ না।থাকতে পারব না এমন বেঈমানের সাথে।স্ত্রী রেগে গিয়ে বলেছে ।স্বামি যদি বলে থাকিও না বেঈমানের সাথে।স্বামী এসব কথা তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?স্ত্রী তালাক চাই নি মেসেজে বললে কথা গুলো তাহলে কি তালাক হবে?আর মাঝখানে আর কোন কথা হয়েছিল কিনাও মনে না থাকে তাহলে কি তালাক হবে?মনে হয় স্ত্রী কথাগুলে বলার পর মাঝখানে আরো ২-৩টা কথা হয়েছিল।কয়েকবার বলেছিল এমন কথা স্ত্রী।কিন্তুু স্বামি ঠিক কি বলেছিল সেটা মনে নেই।মনে হয় ওটা বলেছে।স্বামী যে কথাটা সেটা কি কেনায়া?আর স্ত্রীর  উক্ত কথার পর যদি স্বামি বলে  মানে আরো কথা  হওয়ার পর থাকিও না ভাল দেখে কর  গা ভাল দেখে।মনেও যদি না থাকে আর কোন কথা হয়েছে কিনা মাঝখানে। আর নিয়ত ছাড়া বললেও মেসেজে  তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রী তহ তালাক চায় নি। জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।আর কথা গুলো যদি পরপর বলে তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রী তহ তালাক চায় নি।আর তালাকের মজলিস ও না।নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,
يشترط بالاتفاق القصد في الطلاق: وهو إرادة التلفظ به
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
এতেও তালাক হবেনা।

(০৩)
স্ত্রী এসব বললে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...