জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত সবই ওয়াসওয়াসা।
এহেন ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব দিবেননা।
ওয়াসওয়াসা আসলেই অন্য কাজে/অন্য বিষয়ে মগ্ন হবেন।
আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজিম পাঠ করবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম-সিজদাহ ৩৬)
ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব না দিয়ে কোনো উপকারী কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবেন।
কেননা একজন মুমিনের জীবনে এই সমস্যা প্রথম সমস্যা নয় এবং শেষ সমস্যাও নয়; বরং দুনিয়াতে একজন মুমিন অবশিষ্ট থাকলেও এ সমস্যা বর্তমান থাকবে।
সুতরাং বুদ্ধিমানের কাজ হল, সমস্যাটিকে স্বাভাবিক মনে করে একে গুরুত্ব না দেয়া।
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে একজন লোক এসে বললেন, আমার মনে কখনো এমন কথার উদয় হয়, যা উচ্চারণ করার চেয়ে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া আমার কাছে বেশি ভালো মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ أَمْرَهُ إِلَى الْوَسْوَسَةِ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি এ বিষয়টিকে নিছক একটি মনের ওয়াসওয়াসা হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। (আবু দাউদ, কিতাবুল আদব, অনুচ্ছেদ: ওয়াসওয়াসা প্রতিরোধ)
নেক আমলের পরিবেশে থাকুন,নেককার ব্যাক্তিদের সাহচর্যে বেশি বেশি উঠাবসা করুন,বেশি বেশি যিকির,কুরআন তিলাওয়াত করুন।
প্রয়োজনে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হোন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান পাবেন।