আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামুয়ালাইকুম। আমি আল্লাহ'র  রহমতে সদ্দ দিনে ফিরেছি।এক বছর  যাবত  আমি বিভিন্নরকম  ওয়াস ওয়াসার  সমস্যা  তে ভুঘছি।এবং আমি আল্লাহর  রহমতে শারিরিক  ভাবে সম্পুর্ণ  সুস্থ।কিন্তু আমি যদি শুনি বা দেখি কেউ  কোন  কঠিন  রোগ  এ আক্রান্ত। তখন আমার শুদু মনে হয় যদি আমার এমন হয়।আমে মানুশিকভাবে খুব অসুস্থ  হয়ে পরছি এই ভেবে ভেবে। এখন আমার প্রশ্ন  এটাও  কি শয়তান  এর ওয়াস ওয়াসা।আমি পবিত্র  সহ আরও  অনেক  ওয়াস ওয়াসার  সমস্যা তে আছি।আমি এইশব ভয় এর জন্নে মানুশিক ডাক্তার  এর কাছে গেসি।

1 Answer

0 votes
by (549,270 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
প্রশ্নে উল্লেখিত সবই ওয়াসওয়াসা।
এহেন ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব দিবেননা।
ওয়াসওয়াসা আসলেই অন্য কাজে/অন্য বিষয়ে মগ্ন হবেন।
আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজিম পাঠ করবেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম-সিজদাহ ৩৬)

ওয়াসওয়াসাকে  গুরুত্ব না দিয়ে কোনো উপকারী কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। 

কেননা একজন মুমিনের জীবনে এই সমস্যা প্রথম সমস্যা নয় এবং শেষ সমস্যাও নয়; বরং দুনিয়াতে একজন মুমিন অবশিষ্ট থাকলেও এ সমস্যা বর্তমান থাকবে। 

সুতরাং বুদ্ধিমানের কাজ হল, সমস্যাটিকে স্বাভাবিক মনে করে একে গুরুত্ব না দেয়া। 

ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে একজন লোক এসে বললেন, আমার মনে কখনো এমন কথার উদয় হয়, যা উচ্চারণ করার চেয়ে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া আমার কাছে বেশি ভালো মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,

 الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ أَمْرَهُ إِلَى الْوَسْوَسَةِ 

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি এ বিষয়টিকে নিছক একটি মনের ওয়াসওয়াসা হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। (আবু দাউদ, কিতাবুল আদব, অনুচ্ছেদ: ওয়াসওয়াসা প্রতিরোধ)

নেক আমলের পরিবেশে থাকুন,নেককার ব্যাক্তিদের সাহচর্যে বেশি বেশি উঠাবসা করুন,বেশি বেশি যিকির,কুরআন তিলাওয়াত করুন।
প্রয়োজনে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হোন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান পাবেন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...