আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ শায়েখ। আমার স্ত্রীর হায়েজ অনিয়মিত। তবে উনার হায়েজের অভ্যাস ৭ দিনের ছিল। এ মাসে উনার হায়েজের ৭ম দিন রাতে চেক করে দেখেন কুদরা দেখা যাচ্ছে না, তাই ফরজ গোসল করেন। এরপর আমরা একত্রে সময় কাটাই, উনি পরেরদিন রোজাও রাখেন। কিন্তু রোজা রাখার পর দেখতে পান সাদা স্রাবের সাথে রক্ত মিশ্রিত, যেটাকে কুদরা বলা যায়। এখন গতরাতে আমরা যে হায়েজ শেষ মনে করে মিলিত হলাম, এটার জন্য আমাদের করনীয় কি? আমাদের কি কাফফারা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(وأما) صاحبة العادة في الحيض إذا كانت عادتها عشرة فزاد الدم عليها فالزيادة استحاضة، وإن كانت عادتها خمسة فالزيادة عليها حيض معها إلى تمام العشرة لما ذكرنافي المبتدأة بالحيض، وإن جاوز العشرة فعادتها حيض، وما زاد عليها استحاضة 
সাহেবে আদত তথা যার হায়েয সারা বৎসর একি নিয়মে হয়। কোনো সাহেবে আদত মহিলার যদি ১০দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন যদি দশকে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ১০ এর অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।

আর যদি কোনো সাহেবে আদত মহিলার ৫দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন ৫দিন কে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০দিন পর্যন্ত হায়েযই গণ্য হবে।তবে যদি ১০কেও ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ৫দিন পর্যন্তই হায়েয হবে। এবং পাঁচের অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।(বাদায়ে সানায়ে-১/৪১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার স্ত্রীর হায়েয যেহেতু সাধারণত ৭ দিন হয়ে থাকে, তাহলে এখন দশ পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখুন, যদি দশদিন পর আর রক্তস্রাব না আসে, তাহলে এই ১০ দিনই হায়েয হবে।কিন্তু যদি ১০ দিন ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ৭ দিনই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।এবং ৭ দিনের অতিরিক্ত সময়কে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।
আপাতত ৭ দিন থেকে দশ পর্যন্ত হায়েয হিসেবে ধরে নিয়ে নামায রোযা থেকে বিরত থাকবেন।১০ দিনের পরই সিদ্ধান্ত হবে যে, ৭ দিনের অতিরিক্ত সময় হায়েয ছিল না ইস্তেহাযা ছিল। যদি ইস্তেহাযা হয়, তাহলে নামায রোযাকে কাযা করে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...