আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in পবিত্রতা (Purity) by (53 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্

১. আমার পিরিয়ড ৩য় রমজানে শেষ হয়, আজ ২০ রমজানের মাগরিবের একটু আগে সাদা টিস্যুতে দেখি খুব সামান্য স্বচ্ছ লাল রক্ত ( কিন্তু আমার পিরিয়ডের প্রথম অবস্থায় এত স্বচ্ছ রক্ত হওয়ার কথা না) পরে ভাবি পিরিয়ড হয়ে গেছে হয়তো। কিন্তু মাগরিবের পর দেখি কাপড়ে সাদাস্রাব (হালকা হলুদ বর্ণের স্রাব আমার রেগুলারই যায়) আর কোনো রক্তের আলামত দেখিনি। বরঞ্চ সাদাস্রাব দেখি। আজকে শরীর ক্লিন করতে গিয়ে কোথাও জখমের ফলে রক্ত এসেছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। এমন সামান্য রক্ত দেখার পর আবার সাদাস্রাব এসেছে, তাহলে কি আমি এশার স্বলাত থেকে ইবাদত শুরু করবো ইনশাআল্লাহ?
২. মা-বাবার খিদমতে সওয়াব বেশি না ইতেকাফে বসার সওয়াব বেশি?
৩. সূরা ফাতিহার শেষ দুই আয়াতে 'আলাইহিমে আইনের বদলে আলিফ উচ্চারিত হয়ে গেলে কি অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যাবে?

৪. ছোট চিংড়ির মাথার নীল রগ না ফেললে কি তা খাওয়া জায়েজ হবে? (সবজির চিংড়ি যেগুলো)

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/78
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি পূর্বের হায়েয থেকে  ১৫ দিন পর এই হায়েয শুরু হয়, তাহলে এটা হায়েয হিসেবেই ধর্তব্য হবে। সুতরাং আপনাকে এই পনের দিন নামায রোযা করা লাগবে না।নামায মাফ।রোযাকে পরবর্তীতে কা'যা করতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এক হায়েয থেকে আরেক হায়েযের মধ্যে ১৫ দিন গ্যাপ থাকতে হয়, যেহেতু আপনার এক হায়েয শেষ হওয়ার ১৫ দিন আগ থেকেই আবার হায়েয শুরু হয়ে গিয়েছে,তাই আপনার এ স্রাবকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।

(২) নফল ইতিকাফের চেয়ে মাতাপিতার খেদমতেই সওয়াব বেশী, যদি তাদের খেদমতের প্রয়োজন থাকে।

(৩)
যেহেতু আলিফ এবং আইন নিকটবর্তী মাখরাজের অক্ষর, এবং তাতে অর্থ বদলে গিয়ে মারাত্বক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে না, তাই নামায ফাসিদ হবে না।

(৪)
যেহেতু মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি  বলা যাবে না।বরং মাকরুহে তানযিহি বলতে হবে।তথা শরয়ী অপছন্দনীয়তার সাথে খাওয়া যাবে।তবে সর্বোপরি এত্থেকে বেছে থাকাই হল তাকওয়া ও সচেতনতার স্পষ্ট দাবী।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/472

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ছোট চিংড়ির মাথার নীল রগ ফেলা না ফেলাতে মূল যে হুকম যা আমরা ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি, তাতে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 278 views
...