ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/699 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু বড় লোকের বালেগ সন্তানের কোনো কিছুর অভাব হয়না, বরং নগদ নেসাব পরিমাণ মাল না থাকলেও তাকে গরীব মিসকিন বলা যায় না, কেননা যখন যা প্রয়োজন তখন সে তাই পায়, তাই বড় লোকের সাবালক ছেলের জন্য যাকাত গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
তবে যেহেতু তার নেসাব পরিমাণ মাল নেই, কেননা সব সম্পত্তি তার বাবার, তাই যদি সে যাকাতের মালকে গ্রহণ করে নেয়, তাহলে যে ব্যক্তি যাকাত দিয়েছে,তার যাকাত আদায় হয়ে যাবে।