আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
195 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (40 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।
কোন মেয়ে যাকে স্বামি তালাকের অধিকার দিছে। স্বামী তুই তাই ব্যাবহার করায় সে যদি বলে আমাকে রাগাই ও না।রাগলে কিন্তুু দুনিয়া সহ  উল্টে যাবে মানে খারাপ কিছু হবে বা করবে সেটা বুঝাচ্ছে আর কি।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি শর্ত যুক্ত তালাক বুঝাবে?আর পরে এমনিতে স্বামীর ওপর রাগ উঠলেও কি তালাক হয়ে যাবে?স্ত্রীর মনে তালাকের চিন্তা আসলেও সে আসলে সাবধান করার জন্য বলেছে।যাতে না রাগায়।আর তালাক হয়ে যাবে এমন বুঝায় নাই।দিতে পারে বা দিবে এমনটা ছিল মনে কিন্তুু বলে নাই স্বামীকে। তহ স্বামি রাগালে  স্ত্রীকে বা রাগ উঠলে স্বামীর কথা দ্বারা তাহলে তালাক হবে ভবিষ্যৎ এ?নাকি না দিলে হবে না?

মনে মনে রাগ আসলে স্বামীকে না দেখালে রাগ তাহলেও কি তালাক হবে?আসলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও তহ রাগ অভিমান হয় মাঝে মাঝে।মনমালিন্যে ও কথাকাটি হয় মাঝে মাঝে তাহলেও সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"কোন মেয়ে যাকে স্বামি তালাকের অধিকার দিছে। স্বামী তুই তাই ব্যাবহার করায় সে যদি বলে আমাকে রাগাই ও না।রাগলে কিন্তুু দুনিয়া সহ  উল্টে যাবে মানে খারাপ কিছু হবে বা করবে সেটা বুঝাচ্ছে আর কি।"

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীর উক্ত কথা দ্বারা না বর্তমানে তালাক হবে, না ভবিষ্যতে তালাক হবে।না, শর্তযুক্ত তালাক হবে।কিছুই হবে না।কেননা স্ত্রী তো সতর্ক করার জন্যই এমনটা বলছে।

https://www.ifatwa.info/468 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﺫﻫﺐ ﻓﻘﻬﺎﺀ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴّﺔ ﻭﺍﻟﺤﻨﺎﺑﻠﺔ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐ ﻣﺤﺮّﻡٌ ﺷﺮﻋﺎً ﻭﻳﺄﺛﻢ ﻓﺎﻋﻠﻪ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻟﻌﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻞ ﺫﻭﺍﻕ، ﻣﻄﻼﻕ ) ﻭﻷﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﻛﻔﺮﺍً ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ، ﺣﻴﺚ ﺇﻥّ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ ﻧﻌﻤﺔ ﻣﻦ ﻧﻌﻢ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐٍ ﻛﻔﺮٌ ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ؛ ﻭﻛﻔﺮﺍﻥ ﺍﻟﻨﻌﻤﺔ ﺣﺮﺍﻡ، ﻓﻼ ﻳﺤﻞّ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺇﻻ ﻟﻀﺮﻭﺭﺓ .
فقه السنة (الطبعة الثالثة)، بيروت: دار الكتاب العربي، صفحة 242، جزء 2
ভাবার্থ-হানাফি এবং হাম্বলী ফুকাহায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,বিনা কারণে তালাক প্রদাণ শরীয়তের দৃষ্টিকোণে হারাম।এবং তালাক প্রদাণকারী গোনাহগার। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ আমভাবে বলেছেন,আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক স্বাদ আস্বাদনকারীদের উপর লা'নত প্রদাণ করেন।কেননা তালাক প্রদাণ দ্বারা আল্লাহ তা'আলা র নিয়ামতকে অস্বীকার করা হয়। বিবাহ আল্লাহর নিয়ামত সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত।আর বিনা কারণে তালাক প্রদাণ মানে বিবাহ নামক নিয়ামতকে পরিত্যাগ, অস্বীকার এবং অবহেলা করা। আর নিয়ামতকে অস্বীকার বা পরিত্যাগ করা হারাম।সুতরাং প্রয়োজন ব্যতীত তালাক হালাল হবে না।(ফেকহুস সুন্নাহ-২/২৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...