ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/1811/ নং ফাতাওয়াতে আমরা
বলেছি যে,
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.
ভাবার্থ: নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত
প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা
বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী
নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)
কোন কোন জিনিষ দ্বারা সদকায়ে
ফিতির আদায় করা যাবে?
وإنما تجب صدقة الفطر من أربعة أشياء من الحنطة والشعير والتمر والزبيب كذا في خزانة المفتين وشرح الطحاوي وهي نصف صاع من بر أو صاع من شعير أو تمر، ودقيق الحنطة والشعير وسويقهما مثلهما والخبز لا يجوز إلا باعتبار القيمة، وهو الأصح، وأما الزبيب فقد ذكر في الجامع الصغير نصف صاع عند أبي حنيفة - رحمه الله تعالى -؛ لأنه يؤكل بجميع أجزائه وروي عن أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - صاع، وهو قولهما
চারটি জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির
আদায় করা যায়, (১) গম (২) যব (৩) খেজুর (৪) কিসমিস।
(পরিমাণঃ)
গম হলে আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম)
যব বা খেজুর হলে এক সা'(=৩.৩০০গ্রাম)
গম বা যবের সাতু হলে পূর্ণ গম
বা যবের পরিমাপের মতই।
তবে রুটি হলে এক্ষেত্রে পরিমাপ
গ্রহণযোগ্য হবে না বরং মূল্য হিসেবেই দিতে হবে।এটাই বিশুদ্ধ মত।
কিসমিস সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা
রাহ থেকে এক বর্ণনা মতে আধা সা',কেননা তাকে সমূলে একবারেই মূখে
দিয়ে আহার করা হয় এবং ভিন্ন এক বর্ণনায় এক সা'র উল্লেখ পাওয়া যায় যা সাহেবাইনের
মত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)
ফিতরা কি দিয়ে আদায় করতে হবে?মাল দ্বারা না মূল্য দ্বারা?
ثم قيل يجوز أداؤه باعتبار العين والأحوط أن يراعى فيه القيمة هكذا في محيط السرخسي.
ثم الدقيق أولى من البر، والدراهم أولى من الدقيق لدفع الحاجة، وما سواه من الحبوب لا يجوز إلا بالقيمة وذكر في الفتاوى أن أداء القيمة أفضل من عين المنصوص عليه وعليه الفتوى كذا في الجوهرة النيرة
কেউ বলেন মূল জিনিষ দ্বারা আদায়
করা জায়েয। তবে উত্তম হল তাতে মূল্য দিয়ে দেওয়া। গমের ছাতু গম থেকে
উত্তম।
দিরহাম ছাতু অপেক্ষা উত্তম, কেননা দিরহাম দ্বারা সকল প্রকার প্রয়োজন পূর্ণ করা যায়। উপরোল্লিখিত দ্রব্যাদি
ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্যাদি দ্বারা ফিতরা আদায় করতে হলে এক্ষেত্রে মূল্যকে মানদন্ড হিসেবে
ধরে নিতে হবে।
বর্ণিত রয়েছে,
হাদীসে উল্লেখিত দ্রব্যাদি আদায়
করার চেয়ে সেইসব দ্রব্যাদির মূল্য আদায় করাই উত্তম।এবং এটার উপরই ফাতাওয়া।(ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/১৯২)
ফিতরা কখন আদায় করতে হবে?
وَإِنْ قَدَّمُوهَا عَلَى يَوْمِ الْفِطْرِ جَازَ،
ঈদের দিন সকাল ফিতরা ওয়াজিব
হয়।
ঈদের দিনের পূর্বে ফিতরা দিয়ে
দিলে তা আদায় হবে । ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২
ঈদের সালাতের পূর্বে ফিতরা দেয়া
মুস্তাহাব।তবে পরে দিলেও আদায় হবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-০৯/৬৩৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. বর্তমানে সদকাতুল ফিতর টাকা
দ্বারা আদায় করা দ্রব্যাদি দ্বারা আদায় করা অপেক্ষা উত্তম, কারণ, টাকা দ্বারা সকল প্রকার প্রয়োজন পূর্ণ করা যায়। উল্লেখ্য
যে, উপরোল্লিখিত দ্রব্যাদি ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্যাদি দ্বারা ফিতরা আদায়
করতে হলে এক্ষেত্রে মূল্যকে মানদন্ড হিসেবে ধরে নিতে হবে।
২. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
সেমাই, আটা, চিনি দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে সদকাতুল
ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করা দ্রব্যাদি দ্বারা আদায় করা অপেক্ষা উত্তম, কারণ, টাকা দ্বারা সকল প্রকার প্রয়োজন পূর্ণ করা যায়।