بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/13075 নং ফাতাওয়ায় আমরা
বলেছি যে, যাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিধানের একটি।নেসাব পরিমাণ
মালের মালিকের উপর যাকাত প্রদান করা ফরয।
যাকাতের নেসাব-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ ৭. ৫ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ ৫২. ৫ভড়ি।
এখানে একটি জিনিষ লক্ষণীয় যে,কারো কাছে
শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে। অন্যথায়
যাকাত আসবে না। তবে হ্যা যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা এভাবে থাকে যে,কোনো একটির
নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য সামান্য বাকী। তাহলে এক্ষেত্রে যেটা বেশী সেটারই নেসাব পূর্ণ
করা হবে। যেমন কারো কাছে স্বর্ণ ৭. ৫ভড়ির চেয়ে সামান্য কম, তাহলে
এমতাবস্থায় রূপা দ্বারা স্বর্ণের নেসাবকে পূর্ণ করা হবে।
টাকা এবং মালের নেসাবঃ
টাকা এবং মালকে রূপার সাথে সংযুক্ত করে রূপার নেসাব হিসেবেই
ধরা হবে।তথা কারো কাছে ৫২. ৫ভড়ি সমমূল্যে র টাকা বা ব্যবসায়িক পণ্য থাকলে তার উপর যাকাত
আসবে।
এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানঢন্ড হিসেবে ধরা হবে না।সোনা রূপার
বিক্রয়মূল্য র উপরই যাকাত আসে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/121
মালে নামীতে যাকাত আসে। মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের
দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার, (১)সোনা (২)রুপা (৩)ব্যবসার মাল (৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো
বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত
মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী
আসবাবপত্র ইত্যাদি।
বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিছু স্বর্ণ ও কিছু রুপা থাকলে উভয়ের মূল্য হিসেব করে
যদি ৫২.৫০ তোলা মূল্যের সমমান হয় তাহলে যাকাত ওয়াজিব হবে । বিধায় বিগত
দুই বছর আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব ছিল। আপনি যদি রুপা বিক্রি করে দেন এবং আপনার নিকট
৪:৫ ভরি স্বর্ণ ছাড়া অন্য কোন টাকা বা রুপা না থাকে তাহলে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে
না।